FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

ইসলাম নারীদের সমঅধিকার দেয়নি বরং বেশী অধিকার দিয়েছে♥

ইসলাম নারীদের সমঅধিকার দেয়নি বরং বেশী অধিকার দিয়েছে♥

"ইসলাম নারীদের সমঅধিকার দেয়নি
বরং বেশী অধিকার দিয়েছে"
-checkit-
.
নারী। শব্দটা কখনো সম্মানী, কখনো স্নেহময়ী, কখনো লোভনীয়, কখনো বা প্রয়োজনীয়।
সেই "কখনো" কে অবজ্ঞা বা বিদ্রুপ করার অধিকার কাউকে দেয়া হয় নি।
"কখনো" টা কে সর্বদা সততার সাথে দেখা এবং উপযুক্ত স্থানে সঠিক "কখনো" প্রয়োগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
......
আপনার বড় বোনকে আপনি সম্মান করে ভালোবাসেন। ছোট বোনকে আপনি স্নেহ করে ভালোবাসে। আপনার স্ত্রীকে আপনি আদর দিয়ে ভালোবাসেন। আপনার মা'কে আপনি সম্মান এবং আদর উভয়টা দিয়েই ভালোবাসেন।
তাহলে,
অন্যের বড় বোন, ছোট বোন, স্ত্রী বা মা কে কেন আপনি লোলুপ দৃষ্টিতে দেখেন?
.
পুরুষের মধ্যে কিছুটা পশুর স্বভাব আছে। যার ফলে তারা অতি উত্তেজনায় পশুর মতো হিংস্র হয়ে ওঠে।
তবে হ্যাঁ, মহাপুরুষরা পশুর স্বভাবটাকে দমিয়ে রেখে আদর-ভালোবাসা মিশ্রিত স্বভাবটা তার স্ত্রীর উপর বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
.
নারীদের মধ্যে অনুকরণের স্বভাবটা একটু বেশী। যার কারণে কেউ কেউ ইংলিশ মুভি দেখে দেখে তাদের অনুকরণের প্রত্যাশা করে।
কিন্তু একটি বারও ভাবে না যে, ওয়েস্টার্ন কালচার অনুকরণের জন্য তাকে কোন নগ্নতার গহ্বরে পড়তে হবে।
অবাধ যৌনতার কারণে সমাজ কতটা বিশৃঙ্খল হতে পারে সেটা আমরা একবারও চিন্তা করেছি?
.
অবাধ যৌনতার ফলে সমাজে থাকবে না কোন বিবাহ। থাকবে না কোন নারী জাতির প্রতি মমতা -ভালোবাসা। থাকবে না মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। থাকবে না বোনের প্রতি ভালোবাসা। থাকবে না কোন স্ত্রী বা স্ত্রী থাকলেও সেটা থাকবে সাময়িক। সমাজে যৌনতার ব্যাপারে বাধা প্রদানের নিয়ম যখন সবাই উপেক্ষা করতে থাকবে তখন স্ত্রীর প্রতি অরুচি বোধ করে যাবে রুচিসম্মত অন্য কারো কাছে। নারী জাতিকে ভোগের পণ্য ছাড়া আর কিছুই মনে করা হবে না। কারো মেয়ে সন্তান হলে সে লজ্জাবোধ করবে। মনে করা হবে, একটা ভোগের পণ্য, একটা নিকৃষ্ট জীব আমার ঘরে জন্ম নিয়েছে। এটা ভেবে হত্যা করবে তার নিষ্পাপ সেই মেয়েটিকে।
.
তাহলে দেখলাম ওয়েস্টার্ন কালচার অনুকরণের ফলে আমাদের অদূর ভবিষ্যতে কি হতে পারে। কোন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারি আমরা।
.
সমাজ সুশৃঙ্খল রাখার জন্য একমাত্র ইসলামই দিয়েছে সঠিক রুলস।
পুরুষরা তাদের দৃষ্টিকে নত রাখবে এবং নারীরা তাদের পর্দার হেফাজতে রাখবে।
এতে সমাজে অবাধ যৌনতার বিস্তার হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না বরং অবৈধ সম্পর্কও হবে না। কেননা একটা মেয়েকে দেখার পর ভালো লাগে তারপর তার প্রতি যৌনইচ্ছা জাগে। সেখানে দেখাটাকেই যদি আটকানো হয় তাহলে বাকী কিছু তো হওয়ার সম্ভাবনাই নেই।
.
অথচ এই সুন্দর বিধানকে উপেক্ষা করে কতিপয় নারী ওয়েস্টার্ন কালচার অনুসরণ-অনুকরণ করে এবং বলে ইসলাম নারীদের অধিকার দেয়নি। তারা পুরুষদের মতো অধিকার চায়।
ইসলাম কখনো নারীদের সমঅধিকার দিতে পারবে না কেননা ইসলাম নারীদের বেশী অধিকার দিয়েছে।
.
ইসলাম নারীদের অধিকার সম্পর্কে যা বলেছে,
‪#‎নারীর‬ শিক্ষা
নারীদের তালিম তালবিয়ার ব্যাপারে
পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তোমরা তাদের
(নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম
আচরণ করার শিক্ষা দাও।’ (সূরা-৪ নিসা,
আয়াত: ১৯)। মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন,
‘যার রয়েছে কন্যাসন্তান, সে যদি তাকে
(শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে) অবজ্ঞা ও অবহেলা
না করে এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর
প্রাধান্য না দেয়; আল্লাহ তাআলা তাকে
জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ তিনি আরও
বলেন, ‘তোমরা নারীদের উত্তম উপদেশ দাও
(উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করো)।’ হাদিস
শরিফে বলা হয়েছে, ‘ইলম শিক্ষা করা
(জ্ঞানার্জন করা) প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর
প্রতি ফরজ (কর্তব্য)।’ (উম্মুস সহিহাঈন-ইবনে
মাজাহ শরিফ)। তাই হাদিস গ্রন্থসমূহের মধ্যে
হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসের
সংখ্যা ২ হাজার ২১০, যা সব সাহাবায়ে
কিরামের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
#নারীর আধ্যাত্মিক শিক্ষা
একইভাবে আধ্যাত্মিক মহিমা অর্জনের
ক্ষেত্রেও নারীর কর্তব্য রয়েছে। কোরআনে
বলা হয়েছে, ‘এ কথা সুনিশ্চিত, যে পুরুষ ও
নারী মুসলিম মুমিন, হুকুমের অনুগত, সত্যবাদী,
সবরকারী, আল্লাহর সামনে বিনত, সাদকা
দানকারী, রোজা পালনকারী, নিজেদের
সম্ভ্রমের হেফাজতকারী এবং আল্লাহকে
বেশি বেশি স্মরণকারী, আল্লাহ তাদের জন্য
মাগফিরাত ও প্রতিদানের ব্যবস্থা করে
রেখেছেন।’ (সূরা-২২ আহজাব, আয়াত: ৩৫)।
‪#‎মা‬ হিসেবে নারীর সম্মান
ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা
দিয়েছে মা হিসেবে। মহানবী (সা.) বলেন,
‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’। হজরত আবু
হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক লোক
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দরবারে এসে
জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার
বেশি অধিকারী কে? নবীজি (সা.) বললেন,
‘তোমার মা’। ওই লোক জিজ্ঞেস করলেন,
তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার
মা’। ওই লোক আবারও জিজ্ঞেস করলেন,
তারপর কে? এবারও তিনি উত্তর দিলেন
‘তোমার মা’। (বুখারি)।
মহানবী (সা.)-এর জামানার বিখ্যাত এক
ঘটনার কথা আমরা জানি। মায়ের সেবা
করার কারণে হজরত ওয়াইস করনি (রা.) প্রিয়
নবীর জামানায় থেকেও সাহাবি হতে
পারেননি। একবার ওয়াইস করনি (রা.)
নবীজির কাছে খবর পাঠালেন ‘ইয়া
রাসুলুল্লাহ! আপনার সঙ্গে আমার দেখা করতে
মন চায়; কিন্তু আমার মা অসুস্থ, এখন আমি কী
করতে পারি?’ নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন,
‘আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সঙ্গে
সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের খেদমত
করা বেশি জরুরি।’ নবীজি (সা.) তাঁর
গায়ের একটি মোবারক জুব্বা ওয়াইস করনির
জন্য রেখে যান। তিনি বলেন, মায়ের
খেদমতের কারণে সে আমার কাছে আসতে
পারেনি। আমার ইন্তেকালের পরে তাকে
আমার এই জুব্বাটি উপহার দেবে। জুব্বাটি
রেখে যান হজরত ওমর (রা.)-এর কাছে। এবং
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, হে ওমর! ওয়াইস করনির
কাছ থেকে তুমি দোয়া নিয়ো।
‪#‎কন্যা‬ হিসেবে নারীর সম্মান
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মেয়েশিশু বরকত
(প্রাচুর্য) ও কল্যাণের প্রতীক।’ হাদিস শরিফে
আরও আছে, ‘যার তিনটি, দুটি বা একটি
কন্যাসন্তান থাকবে; আর সে ব্যক্তি যদি তার
কন্যাসন্তানকে সুশিক্ষিত ও সুপাত্রস্থ করে,
তার জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়।’
‪#‎বোন‬ হিসেবে নারীর সম্মান
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কারও যদি
কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান থাকে আর তিনি
যদি সন্তানদের জন্য কোনো কিছু নিয়ে
আসেন, তবে প্রথমে তা মেয়ের হাতে
দেবেন এবং মেয়ে বেছে নিয়ে তারপর
তার ভাইকে দেবে।’ হাদিস শরিফে আছে,
বোনকে সেবাযত্ন করলে আল্লাহ প্রাচুর্য দান
করেন।
‪#‎স্ত্রী‬ হিসেবে নারীর সম্মান
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একে অন্যের
পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে রয়েছে,
‘তারা তোমাদের আবরণস্বরূপ আর তোমরা
তাদের আবরণ।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)।
স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন,
‘উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক।’ (মুসলিম
শরিফ)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে
সে–ই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে
উত্তম।’ (তিরমিজি)। পবিত্র কোরআনে বলা
হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে
সদাচরণ করো।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)।
কোরআনে আরেক জায়গায় বলা হয়েছে,
‘নারীদের ওপর যেমন অধিকার রয়েছে পুরুষের,
তেমনি রয়েছে পুরুষের ওপর নারীর
অধিকার।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২২৮)।
‪#‎বিধবার‬ অধিকার ও সম্মান
বিধবাদের অধিকার সম্পর্কে মহানবী (সা.)
বলেছেন, ‘যারা বিধবা নারীর ভরণ–
পোষণের দায়িত্ব নেয়, তারা যেন আল্লাহর
পথে জিহাদকারী এবং নিরলস নামাজি ও
সদা রোজা পালনকারী। (বুখারি ও মুসলিম)।
#নারীর প্রতি সম্মান পুরুষের ব্যক্তিত্বের
প্রমাণ
রাসুলের একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে
সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও
মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তিনটি বিষয়
নবী করিম (সা.)-এর জীবনে লক্ষণীয় ছিল—এক.
নামাজের প্রতি অনুরাগ; দুই. ফুলের প্রতি
ভালোবাসা; তিন. নারীর প্রতি সম্মান।
(বুখারি ও মুসলিম)।
‪#‎কোরআন‬ ও হাদিসে উল্লেখিত বিখ্যাত
নারীগণ:
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বহু বিখ্যাত
নারীর উল্লেখ রয়েছে, তাঁরা নিজ নিজ
অবস্থানে সেরা ছিলেন। যেমন: জগন্মাতা
মা হাওয়া (আ.), আদমকন্যা আকলিমা, ইব্রাহিম
(আ.)-এর পত্নী সারা, ইসমাইল (আ.)-এর মাতা
হাজেরা, মিসরপতির স্ত্রী জুলায়খা,
সুলাইমানের পত্নী সাবার রানি বিলকিস,
ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া, আইয়ুব (আ.)-
এর স্ত্রী বিবি রহিমা, ইমরানের স্ত্রী
হান্না, ঈসা (আ.)-এর মাতা বিবি মরিয়ম,
নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাতা
আমেনা ও দুধমাতা হালিমা সাদিয়া; উম্মুল
মুমিনিন খাদিজা (রা.), হাফসা (রা.),
আয়িশা (রা.), মারিয়া (রা.)সহ নবী পত্নীগণ;
নবীনন্দিনী রুকাইয়া, জয়নব, কুলসুম ও ফাতিমা
(রা.); আবু বকরের কন্যা আসমা, শহিদা সুমাইয়া
ও নবীজির দুধবোন সায়েমা।
.
এবার ভাবুন নারীদের বেশী অধিকার কোথায় পেলেন? ওয়েস্টার্ন কালচারে (পশ্চিমা সংস্কৃতিতে) নাকি ইসলামে?
.
→cltd.:-D

*




3 Comments 663 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024