FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

সৃতিচারণ,,, স্কুলের ফেলে আসা সময়l

সৃতিচারণ,,, স্কুলের ফেলে আসা সময়l

১. জয়নুল আবেদিন স্যার ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। হঠাৎ ক্লাসের মাঝখানে মামুন দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল, " স্যার! এ না আমাকে মা*র ব্যাটা বলে গালি দিলো।"
স্যারের মুখ হা হয়ে গেলো! হাত থেকে ব্যাকরণ বই পড়ে গেলো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে,
"তুই বলতে পারলি? তুই আমার সামনে ঐ নাম বলতে পারলি? "
মামুন, স্যারের কথা কিছু না বুঝে বিরক্ত হয়ে বসে পড়ল। ও তো কিছু বলে নাই, সব তো ঐ মা*র ব্যাটা বলেছে। 😜
২. মিলন বাথরুমে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করছিলো। শুভ এসে গেটে জোড়ে ধাক্কা দিতেই গেট খুলে গেল। মিলন ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে গেছে। সে সমানে চিল্লাচ্ছে। শুভ কোন কিছুর ধার না ধেরে চেইন খুলে বলল, " সর, চাপে খাড়া। আমিও মুতি। "
তারপর মিলন আর শুভ একে অপরের দিকে তাকিয়ে এক কমডেই মুততে লাগল। 😜 তারপর দুজনের অট্ট হাসিতে মুত্রের গতি পরিবর্তিত হতে লাগল ক্ষনে ক্ষনে।
৩. আমি, মিলন, শুভ জিলা স্কুলের পাশের পার্কে হাটতে গেলাম। হঠাৎ বন্ধু সিফাতের সাথে দেখা। তার সাথে তার মামাও আছে।
সিফাত তার মামার সাথে আমার আর মিলনের পরিচয় করিয়ে দিলো। তবে শুভকে পরিচয় করিয়ে দিলো স্পেশালভাবে। :D
" মামা এ হচ্ছে শুভ। আমাদের এস.এস.সি ১৭ ব্যাচের সবচেয়ে জাড়ুয়া পোলা ।"
আমি আর মিলন হা করে মুখে হাত দিয়ে দিলাম। আর শুভ দুই হাত উপরে তুলে বামে ডানে ঝাকিয়ে জয়ধ্বনি করল কিছুক্ষন।
সিফাত বলে চলল,
" আর শুভ, এইটা আমার আপন মামা। আবে তুই কি জাড়ুয়া, আমার মামা তোর চেয়ে একশো গুন জাড়ুয়া। "
আমি আর মিলন এবারে প্রায় একসাথে মাটিতে আছাড় খেলাম এরকম মারমুখী ইন্ট্রুডিউছিং-এ। :D
৪. আমি আর সান, ক্লাসে বসে লিওনের জোক্স শুনছি।
"ক্লাসে স্যার জিজ্ঞেস করলেন, বলত পল্টু ঋতু কয় প্রকার? বল্টু বলল, ৭ প্রকার। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত আর আমাদের পাশের ফ্লাটের ঋতু। " এই বলে লিওন নিজেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল।"
আমি আর সান মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম। এসস! বাল্ডা যেন কি বিশাল জোক্সডা মারছে?
৫. জিলা স্কুলের এক ত্রাস বিদ্যুৎ স্যার। তাকে দেখে আমরা দৌড়ে পালিয়ে যেতাম। তিনিও দৌড়ে দৌড়ে ছাত্র পিটাতেন। ডেস্টিনির এক PHD তার কাছে প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছিলো, তিনি তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করে দিয়েছিলেন। যাই হোক,
আমাদের অংক পরীক্ষার গার্ড তিনি। ফেইল আমাদের কপালের লিখন। সামনের একজনের খাতা দেখার ব্যার্থ চেষ্টায় তিনি আমার খাতা কেড়ে নিলেন। ক্লাস ফাইভে তিনি ফাইনাল পরীক্ষায় আধা ঘন্টার মাথায় একই কারনে সানের খাতা কেড়ে নেন। এবং সেই খাতা বগলে করে নিজের বাসায় নিয়ে চলে যান।
আমিও খাতার আশা প্রায় ছেড়েই দিলাম। তাও একবার কান্না কান্না ভাব করে খাতা দিতে সবিনয় অনুরোধ করতেই তিনি মায়া করে খাতা দিয়ে দিলেন। আমার খুশিতে চোখে পানি চলে এলো। স্যার আমাদের ২ মিনিট আগে পরীক্ষা শুরু করেছিলেন। তাই তিনি আমাকে জানিয়ে দিলেন, দুই মিনিট আগেই তিনি আমাদের খাতা নিয়ে নেবেন, আমি যেন তাকে স্বরন করিয়ে দেই।
আমার প্রতি স্যারের এতো মায়া আর নির্ভরতা দেখে আমি যা করেছিলাম তার জন্য আমার বন্ধুরা আমাকে যে পিটিয়ে লাশ বানায়নি এটা একটা মিরাকল।
এমনিতেই সবার অবস্থা খারাপ, তাও
আমি পরীক্ষা শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগেই খাতা জমা দিয়ে স্যারকে বললাম,
" স্যার আর মাত্র দুই মিনিট আছে, সবডির খাতা কাইড়া নেন।" 😂

*




0 Comments 830 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024