FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৫ জন সুন্দরী নারী ক্রিকেটার

ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৫ জন সুন্দরী নারী ক্রিকেটার


আইসিসি যেদিন থেকে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট চালু করেছে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে, সেদিন থেকে ক্রিকেট খেলার ধারাটাই বদলে গিয়েছে। মানুষ আরও বেশি করে আকৃষ্ট হয়েছে এই খেলার জৌলুসতার দিকে। ক্রিকেটাররা এই গ্রহে অনেকাংশেই ভগবানের মতো। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের জনপ্রিয়তা চলচ্চিত্র জগতের তারকাকেও পিছনে ফেলে দেয়।

মহিলাদের ক্রিকেট আবার সেক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। মাঠের মধ্যে সমান পরিশ্রম করেও, ততটা জনপ্রিয়তা নেই। ইদানিং অবশ্য সেই ছবিটা বদলাচ্ছে আস্তে আস্তে। তবে, আরও কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে সেভাবে জনপ্রিয় হতে। কারণ, ম্যাচের সংখ্যাও তো বাড়াতে হবে পাল্লা দিয়ে।

মহিলা ক্রিকেটারদের নিয়ে যখন এই প্রতিবেদন তাহলে রূপসী বলা এখন থেকেই শুরু করে দিই। ক্রিকেটারদের ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে তাঁদের সুন্দরী মুখ আর রূপসী শরীর সত্যিই মারাত্মক কম্বিনেশন। ফ্যানেরা ওখানেই কাত হয়ে যান। মন দিয়ে ফেলেন পছন্দের মহিল ক্রিকেটারটিকে। জিমে বহু সময় ব্যয় করে ঘাম ঝরালেও, লাস্যময়ী। আরও বেশি করে যেন রূপসী হয়ে ওঠেন নিজেদের রূপের জাদুতে মোহি করতে। আপনি যদি মহিলা ক্রিকেটের তেমন অনুরাগী না হন, যে পনেরোজন হটেস্ট মহিলা ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন তাঁদের একবার দেখলে আপনিও মহিলা ক্রিকেটের অনুরাগী হয়ে উঠবেন।

১৫. মিতালি রাজ: ভারত দলের বর্তমান অধিনায়িকা কিন্তু বেশ রূপসী। ব্যাটহাতে ক্রিকেট মাঠে যেমন মারাত্মক, তেমনই স্প্যাগটি টপে হোটেল রুমের সেলফি দেখলে যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবেন। টনটনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ২১৪ রান করে মাত্র ঊনিশ বছর বয়সে ভারতীয় ক্রিকেট দলে আসা মিতালি শুরু থেকেই যেন লেজেন্ড হওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন। টেস্ট ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সমান পারদর্শী মিতালি ২০১৭ সালে খবরের মধ্যে আছেন তাঁর বোল্ড পোশাকের জন্য।

১৪. সানা মির: পাকিস্তানের এই মহিলা ক্রিকেটারটিকে দেখলে অনেকে মডেল ভেবে ভুল করে বসতেও পারেন। অসাধারণ সুন্দরী সানা পাকিস্তান মহিলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। আদতে বোলিং অলরাউন্ডার সানার নেতৃত্বেই ২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে সোনা জেতে।

১৩. মিগনন দু প্রিজ: দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহিলা ক্রিকেটারটি ডানহাতি উইকেটকিপার-ব্যাটসওম্যান। ২০১১ থেকে ২০১৬ – তিন ধরনের ফরম্যাটেই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাত্র চার বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু মিগননের। এছাড়া, সফ্টবল, হকি, টেবিল টেনিসও খেলেন। শচীন তেন্ডুলকর ও জন্টি রোডসের ফ্যান এই মহিলা ক্রিকেটারটি মার্কেটিং অনার্স গ্র্যাজুয়েট। সতেরো বছর বয়সে প্রোটিয়া টিমে অভিষেক হওয়া প্রিজ অবসর সময়ে পরিবার ও বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কাটাতে ভালোবাসেন।

১২. ডান ফান নিকার্ক: প্রিটোরিয়ান এই ক্রিকেটারটি এখন দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের অধিনায়ক। তিন ধরনের ফরম্যাটেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এই লেগ-স্পিনার আবার হাইস্কুলের পর আর পড়াশুনো এগোননি ক্রিকেটের কারণে।

১১. তৃশা চেত্তি: দক্ষিণ আফ্রিকার দলে খেলেন এই সুদর্শনা মহিলাও। টেস্ট টিমের চেয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্যই প্রসিদ্ধ। সাত ও আট নম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করলেও ২০০৮ সাল থেকে ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন।

১০. এমি ওয়াটকিন্স: নিউজিল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটারটি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিউয়ি টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এমি বাঁহাতি ব্যাটসওম্যান ও ডানহাতি অফস্পিন বোলার। ২০০৯ মহিলা বিশ্বকাপে ১১টি উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা উইকেট সংগ্রহকারী ছিলেন। হেইডি টিফেন অবসর নেওয়ার পর জাতীয় দলের অধিনায়কাও হয়েছিলেন এমি।

৯. লিয়া পল্টন: অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যা লিয়া স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান ওপেনিং স্লটে। ২০০০ সালে তাঁর নেতৃত্বে নিউ সাউথ ওয়েল্স অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। জাতীয় দলে আসার আগে ব্যাটহাতে কেরিয়ার ওঠাপড়া করলেও ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর ২০০৬-০৭ মরশুমে রোজ বোল সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় দলে অভিষেক। ইংল্যান্ডে গিয়ে কাউন্টিও খেলেছেন। ২০০৯ সালে পঞ্চাশ ওভারের মহিলা বিশ্বকাপ ও টি-২০ মহিলা বিশ্বকাপ তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম উল্লেখনীয় দিক।

৮. সারা ম্যাকগ্লাশান: এই ক্রিকেটারটিও নিউজিল্যান্ডের মহিলা টিমের সদস্যা। ব্যাট, বল এবং উইকেটকিপিংয়ে সমান দক্ষ অকল্যান্ডের এই মহিলা ক্রিকেটারটির ২০০২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জাতীয় দলে অভিষেক হয়।

৭. সিসিলিয়া জয়াস: সিসিলিয়া আয়ারল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যা। তাঁর যমজ বোনও রয়েছে। ইসোবেল জয়াসও ক্রিকেটার। দুই বোনই ব্যাটসওমেন। তাঁদের তিন ভাই ডমিনিক, এড এবং গাস আয়ারল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেটের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। এর মধ্যে এড আবার ইংল্যান্ডের টিমের হয়েও খেলেছেন।

৬. হলি ফার্লিং: ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে অভিষেক হয় তাঁর। মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ফার্লিং ২০১৩ মহিলা বিশ্বকাপে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন। কুইন্সল্যান্ডের হয়ে মাত্র চোদ্দো বছর বয়সে অভিষেকের মঞ্চে প্রথম তিন বলে হ্যাটট্রিক রয়েছে তাঁর। ২০১৩ বিশ্বকাপে তাদের মহিলা ক্রিকেট দলে ফার্লিংকে দ্বাদশ সদস্যা রূপেও রেখেছিল আইসিসি।

৫. সারা টেলর: ইংলিশ টিমের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসওম্যানটিকে দেখলে যে কেউ মন হারিয়ে ফেলবেন। অসাধারণ সুন্দরী সারা একদিনের ক্রিকেটে ওপেন করতে নামেন। আবার টেস্টের আসরে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ড মহিলাদের অ্যাসেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারায়, সেবার টিমের সদস্যা ছিলেন সারা। সাসেক্সের হয়ে কাউন্টিও খেলে তিনি। ২০১৩ সালে টেলর সেরা টি-২০ মহিলা ক্রিকেটারের খেতাব জিতেছিলেন।

৪. রোজালি বার্চ: ইংল্যান্ডের এই মহিলা ক্রিকেটারটিকে দেখলে আপনি টিনেজ মুভির নায়িকা হিসেবে ভুল করে ফেলতেও পারেন। ২০০৫ ও ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যাসেজ সিরিজে অংশ নেওয়া রোজালি অফস্পিন বোলার এবং লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন।

৩. লরা মার্শ: আরও একটি সুদর্শনা ইংলিশ ক্রিকেটার। লরার জন্ম কেন্টের পামবারিতে। এগারো বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু। পেস বোলিং করেন। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ঐতিহ্যবাহী অ্যাসেজ সিরিজে অংশ নেওয়া লরা ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পান।

২. ইশা গুহ: ইংল্যান্ডের এই মহিলা ক্রিকেটার আবার জন্মসূত্রে বাঙালি। একদশক ইংলিশ টিমের হয়ে ক্রিকেট খেলার পর অবসর নিয়েছেন ২০১২ সালে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সমান দক্ষ এই প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটারটি আবার টি-২০ এক্সট্রা ইনিংসের কল্যাণে ফ্যানেদের মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন হটনেসের কারণে। ২০০৮-০৯ সালে মহিলাদের আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর বোলার ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর বিবিসি’র স্পোর্টস ওয়েবসাইটে ক্রিকেট সংক্রান্ত কলাম লেখেন এবং আইপিএলের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন টিভি প্রেজেন্টার হিসেবে।

১. এলসি পেরি: অস্ট্রেল্য়ার এই মহিলা ক্রিকেটার রূপের গুনে সবাইকে মুগ্ধ করে রেখেছেন। মাত্র ষোলো বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিম এবং ফুটবল টিমে একসঙ্গে ডেবিউ করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ক্রিকেট দলে জায়গা পান এবং তার একমাস পরেই ফুটবল টিমে জায়গা করে নেন। অসাধারণ সুদর্শনা এই মহিলা ক্রীড়াবিদ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে তরুণী ক্রিকেটার ডেবিউ করার দিক থেকে। আবার দেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি ক্রিকেট এবং ফুটবল জাতীয় দলে খেলেছেন।

*




0 Comments 570 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024