বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ব্যবহারকারীদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ফেসবুক প্রতিনিয়ত যোগ করছে নতুন নতুন ফিচার। সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ফেসবুক চালু করেছে জবস অপশন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বেশকিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীরা এক ক্লিকেই সেসব পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে ফেসবুকে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন করার পূর্বে বেশকিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সচরাচর আমরা যেভাবে ফেসবুক প্রোফাইল সাজাই, তার সাথে কর্পোরেট প্রোফাইলের ভিন্নতা রয়েছে। ফেসবুকে চাকরির আবেদন করতে হলে লিংকডইনের মতো ফেসবুক প্রোফাইলও যত্নসহকারে সাজিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। চাকরির আবেদনের পূর্বে ফেসবুক প্রোফাইল কিভাবে সাজাবেন তা দেখে নিন একনজরে- নিজ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট: ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের নাম না দিয়ে অনেকেই ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। অনেকে নামের সাথে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করেন। কেউবা নাম লিখেন বিভিন্ন অক্ষরে। ফেসবুক প্রোফাইল দিয়ে চাকরির আবেদন করতে চাইলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট নেম ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। এক্ষেত্রে সনদপত্র বা জাতীয় পরিচয়পত্রে ব্যবহৃত নাম দেওয়াই উত্তম। নাম ইংরেজি বা বাংলা যেকোন এক ভাষায় রাখতে পারেন। তবে ইংরেজি হলেই ভালো হয়। মানানসই প্রোফাইল পিকচার: ফেসবুক প্রোফাইল আপনার, কিন্তু প্রোফাইল পিকচারে যদি থাকে ফুল, পাখি বা অন্য ছবি, তাহলে আপনি কে তা চাকরিদাতার চেনার উপায় কি! এজন্য চাকরির আবেদন করার পূর্বে প্রোফাইল পিকচার পাল্টে নিন। সিভির মতো পাসপোর্ট সাইজের ছবি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের এমন ছবি ব্যবহার করুন, যেন ছবি দেখে চাকরিদাতার আপনার প্রতি ভালো ধারণা তৈরি হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখবেন কিনা তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে ফেসবুকে চাকরির আবেদন করলে চাকরিদাতা আপনার সব তথ্য দেখতে পাবেন। তাই সেখানে ভুল তথ্য থাকলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে। এজন্য চাকরির আবেদনের পূর্বে যে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন তার নাম, পড়াশোনার সময়কাল, যে ডিগ্রি অর্জন করেছেন বা যেসব সনদ পেয়েছেন তা সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা: ফেসবুক প্রোফাইলে অনেকেই লিখেন ওয়ার্কস এট ফেসবুক। তার মানে আপনি ফেসবুকে চাকরি করেন। সত্যিই কি আপনি ফেসবুকে চাকরি করেন? যদি উত্তর না হয়, তবে চাকরির আবেদনের পূর্বে অবশ্যই এটি সরিয়ে নিন। অনেকেই কোনো পেইজের অ্যাডমিন হলে তা লিখে রাখেন। এটি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে না রাখাই ভালো। তবে যদি আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার হন বা আপনার কাজই হয় প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ পরিচালনা করা, তা উল্লেখ করতে পারেন। কোন প্রতিষ্ঠানে কি পদে চাকরি করেছেন, কতদিন চাকরি করেছেন বা করছেন, কাজের ধরন, আপনার অর্জন সব সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিন। অভিজ্ঞতা না থাকলে সেই ঘরগুলো ফাঁকা থাকবে। ভুলভাল তথ্য দিয়ে পূরণ করার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য তথ্য: ফেসবুকে জন্মতারিখ, জন্মসাল এসব তথ্য অনেকেই ভুল দিয়ে রাখেন। পরিচয়পত্র বা সনদের সাথে মিলিয়ে সঠিক তথ্য দিন। ব্যক্তিগত ইমেইল এড্রেস থাকলে, নিজের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকলে তা উল্লেখ করুন। ফেসবুক প্রোফাইলে লিংকডইন, টুইটার প্রোফাইলের লিংকও সংযুক্ত করে রাখতে পারেন। ফেসবুক পোস্ট: ফেসবুকে যখন চাকরির আবেদন করছেন, চাকরিদাতা আপনার পাবলিক প্রোফাইলের সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন। তাই ফেসবুকে পোস্ট করা, ছবি বা লিংক শেয়ার করার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন জরুরী। এমন কিছু শেয়ার করা বা পোস্ট করা উচিত নয়, যা চাকরিদাতার মনে আপনার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করবে। যারা চাকরি খুঁজছেন, তারা হাতে ঘন্টাখানেক সময় নিয়েই ফেসবুক প্রোফাইল সাজিয়ে নিতে পারেন। ফেসবুক ব্যবহার করে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে এটি বেশ কাজে দেবে।
Posted By: sotto_ferdous
Post ID: 3069
Posted on: 6 years 3 months ago
Authorized by: novazaman