তরমুজ দেখতে গোলাকার এবং ঠেলা দিলে গড়িয়ে যায়। তবু এটা দিয়ে ফুটবল খেলা হয় না। তরমুজের বাইরে সবুজ ভেতরে লাল, তবু তরমুজ বাংলাদেশের জাতীয় ফল নয়। উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু থাকা সত্ত্বেও তরমুজ লোহা আকর্ষণ করে না। তরমুজ খুব অলস ফল, সারাক্ষণ শুয়ে থাকে। হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয় না, ঠিক তেমনি পাঁচটা তরমুজও এক সমান হয় না। তরমুজ কখনো ডায়েট করে না, তরমুজ ডায়েট করুক এটা কেউ চায় না। ভাত পানিতে ভাসে না, কিন্তু তরমুজ পানিতে ভাসে। তরমুজের পুরোটাই শরীর, কোনো ভুঁড়ি নেই। তরমুজ পুরোটা খেয়ে ফেললেও সেটা তরমুজই থাকবে, আপেল হয়ে যাবে না। কাঁঠাল কিলিয়ে পাকানো যায়, তরমুজ কিলিয়ে পাকানো যায় না। তরমুজ কখনো শুকায় না, তরমুজ জন্ম থেকেই নাদুসনুদুস। পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায়, কিন্তু তরমুজ ভেঙে খাওয়ার কথা শোনা যায়নি। তরমুজের ত্বক খুব সিল্কি হয়। তরমুজ যতই রঙ ফরসাকারী ক্রিম মাখুক, এর ত্বক কখনো ফরসা হবে না, সারা জীবন সবুজ বা কালোই থাকবে। তরমুজ দেখতে নাদুসনুদুস হলেও কেউ তাকে মোটা বলে না। তরমুজগাছের চেয়ে তরমুজের ওজন বেশি হয়। তরমুজ একটি মানবিক ফল, কাটলে লাল হয়। ঘুমিয়ে আছে তরমুজের বিচি সকল তরমুজের অন্তরে।
Posted By: blazing_knight
Post ID: 3421
Posted on: 5 years 10 months ago
Authorized by: holud_himu