FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম ❤ [ParT-4]

সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম ❤ [ParT-4]



লেখকঃ A_s_A
.
পুতুল আমাকে বললো...
-তুই আমাকে নাক বোচা বললি ক্যান?
-কখন বললাম?
-কলেজে টিনাকে বললে নাক বোচা মেয়েকে প্রপোজ করেছিস তার বিনিময়ে তুই থাপ্পড় খেয়েছিস। যেহেতু থাপ্পড় আমি দিয়েছি তাহলে তোর মতে আমি নাক বোচা। তোর কি একটুও লজ্জা শরম নাই। নিজের প্রেমিকাকে বললি অন্য মেয়ের হাতে থাপ্পড় খেয়েছিস।
-স্যরি। আর সে তো আমার প্রেমিকা না।
-হয়েছে হয়েছে আর কিছু লোকাতে হবেনা। আমাকে নাক বোচা বলার অপরাধে তোকে এবার শাস্তি দিব
-কি শাস্তি দিবা? আমাকে না বল্লা মারবা না।
-মারব না বেলেছি। শাস্তি দিতে তো আর না বলি নাই।
-এবারের মতো ক্ষমা করে দাও। আর জীবনেও অন্যায় করব না।
-না তোকে ক্ষমা করা যাবেনা। তুই আমার সামনে ১০ বার কান ধরে উঠ বস কর। এটাই তোর শাস্তি।
-প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করে দাও। আর কখনো তোমাকে নাক বোচা বলব না।
-না তোকে কোনো শাস্তি ছাড়া ক্ষমা করে দিলে রাতে আমার ঘুম হবেনা।
কি জেদি মাইয়া মাইরে😒
-প্লিজ ক্ষমা করে দাও। আমার মতো স্মার্ট ছেলেকে কান ধরে উঠ বস করালে লোকে আমাকে ও তোমাকে কি বলবে বলো?
-লোকে কি বললো তা আমি কেয়ার করিনা। ধরবি নাকি থাপ্পড় খাবি?
.
অবশেষে থাপ্পড় খাওয়ার ভয়ে কান ধরে ১০ বার উঠ বস করলাম। এটা কোনো ব্যাপার না। আসে পাশের কোনো লোক আমার কান ধরা দেখে নাই।
.
দৌড়ে বাড়ি চলে আসলাম। কি জল্লাদ মাইয়া, এই মেয়েকে যেই হালা বিয়ে করবে সে সারাজীবন পস্তাবে। না বাপু এই মেয়ের সাথে আমি কোনো রিলেশন করতে চাই না। পরদিন কলেজে গেলাম। আমাদের মধ্যে যা যা হয়েছিলো সব বন্ধুদের কাছে শেয়ার করলাম। মিনাকে ইচ্ছে মতো গালি দিলাম। মিনার কথায় টিনার হাত ধরে পুতুলের সামনে হেঁটেছি। এখন পুতুল ভাবছে আমার আর টিনার মধ্যে এফ্রিয়ার চলছে। সবাই আমাকে অনেক বোঝালো যাতে পুতুলের পিছু ছেড়ে না দেই। কিন্তু আমি মুখ দিয়ে ওদের বলেছি পুতুলের সাথে রিলেশন করতে চাই না কিন্তু মন থেকে চাই পুতুল যেনো আমার ঘরে শ্রুভা হয়। আমি পুতুলকে পুতুলের মতো করে রাখব। সবাইকে বললাম, ওরা কি আমাকে হেল্প করবে? ওরা সবাই রাজি হলো। আমিও এবার আশায় আছি। বন্ধুরা যখন সাপোর্ট দিচ্ছে তাহলে কোনো না কোনো ভাবে পুতুলকে পটিয়ে ফেলব।
.
এইভাবে কিছুদিন চললো। কিন্তু কোনো ঔষধেই পুতুলকে পটানো গেলো না। ওই দিকে হঠাৎ করে আব্বার শরীলে ক্যান্সার দেখা দিলো যার কারণে আব্বাকে মাসে একবার কেমোথেরাপি দিতে হয়। সব মিলিয়ে মাসে আব্বার ডাক্তারীর জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। আমদের এতো টাকা খরচ করার সমর্ত নাই। ফাস্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার কিছুদিন আগেই আমাকে পড়ালেখা বাদ দিতে হলো। আস্তে আস্তে মনের ভিতরের জমে থাকা সব ইচ্ছে গুলা মাটি হতে লাগলো। আব্বার কতই যে ইচ্ছে ছিলো আমি পড়ালেখা করে ডাক্তার হবো। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। বুক ভরা কষ্ট নিয়ে রুজির তাগিদে অচিন শহর ঢাকাতে চলে গেলাম। একটা সিগারেট কোম্পানির স্যালার হিসেবে ১১ হাজার টাকা মায়নেতে চাকরি করা শুরু করে দিলাম। চাকরিতে যোগ দিয়েছি আজ দুদিন হলো। রাতে চাকরি শেষে মেসে ফিরে রান্নাবান্না করলাম। খাওয়া শেষে শুতে যাবো তার আগেই দেখি আননোন নাম্বার থেকে আমার ফোনে কল আসছে। ফোন রিসিভ করে...
-হ্যালো (আমি)
-(মিষ্টি কন্ঠে) কই তুই?
-কে আপনি?
-আমাকে চিনতে পারলিনা?
-টিনা?
-না
-মিনা
-না
-তাহলে তুমি কে রে বইন? পরিচয় দাওনা ক্যান?
-যাকে ভালোবাসিস তাকে চিনতে পারলিনা?
-হুম একজনকে তো ভালোবাসতাম কিন্তু সে আমাকে ভালোবাসে না। তাই তাকে ভুলে গেছি। আর সে কখনো আমাকে কল দিবেনা। কিন্তু আপনি কে?
-আমি...
…………চলবে…………

*




0 Comments 1236 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024