FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

ক্ষমাকারীর জন্য সুসংবাদ !!

ক্ষমাকারীর জন্য সুসংবাদ !!

মহানবী (সাঃ) একদিন
মসজিদে বসে আছেন।
সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন
সময় মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,
তিনি বেহেশতের অধিবাসী”।
একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর
অগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের
প্রবেশ মুখে।
সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর
(রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ)
অথবা এমন কেউ আসছেন যাদের
বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহ
তায়ালা ঘোষণা করেছেন।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন একজন সাধারণ
আনসার সাহাবী।
এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত
জানা ছিল না অধিকাংশের।
তার পরের দিনেও
সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন “এখন
যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,
তিনি বেহেশতের অধিবাসী”।
সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই
সাহাবী।
তৃতীয় দিন নবীজি (সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন “এখন
যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,
তিনি বেহেশতের অধিবাসী”
এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই
অতি সাধারণ সাহাবী মসজিদে প্রবেশ
করলেন। পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর,
সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেই
সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য।
তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা,
তা জানতে হবে। বিখ্যাত
সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আল আ’ স (রাঃ) ভাবলেন এই সাহাবীর
বিশেষত্ব
কি তা জানতে হলে তাকে নিবিড়
ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
তিনি সেই সাহাবীর
কাছে গিয়ে বললেন “ আমার বাবার সাথে আমার মনমালিন্য হয়েছে, তোমার
বাড়িতে কি আমাকে তিন দিনের জন্য
থাকতে দেবে” ।
সেই সাহাবী খুশী মনে রাজী হলেন।
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন , খুঁজতে থাকলেন কি এমন আমল
তিনি করেন ...; সারা দিন তেমন কোন
কিছু চোখে পড়ল না।
তিনি ভাবলেন হয়ত
তিনি রাত জেগে ইবাদত করেন।
না ... রাতের নামায
পরে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন। উঠলেন সেই ফজর
পড়তে। পরের
দুটি দিনও এভাবে কেটে গেল...
হজরত
আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণ আবিষ্কার
করতে পারলেন না যা অন্যদের
চেয়ে আলাদা।
তাই তিনি সরাসরি সেই
সাহাবীকে বললেন “ দেখ আমার বাবার
সাথে আমার কোন মনমালিন্য হয়নি, আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য
তোমার বাড়িতে ছিলাম, কারণ
নবীজি (সাঃ) বলেছেন যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল
তুমি আলাদা কি এমন আমল করো”।
সেই সাহাবী বললেন “
তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমি তেমনই, আলাদা কিছুতো আমার মনে পড়ছে না”।
এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বিদায়
জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন। এমন সময়
সেই সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, আমার একটা অভ্যাসের
কথা তোমায় বলা হয়নি – “রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই,
যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, বা আমার
প্রতি অন্যায় করেছে।
তাদের
প্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না”; হজরত
আবদুল্লাহ (রাঃ) একথা শুনে বললেন “এ জন্যই
তুমি আলাদা, এ জন্যই
তুমি জান্নাতি”।
#collected

*




0 Comments 542 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024