সারা বিশ্বেই শিশুদের ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয় জনসন’স বেবি পাউডার। এমনকি প্রাপ্তবয়স্করাও তা ব্যবহার করেন। কিন্তু রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে এই কোম্পানিটির বিষয়ে উদ্বেগজনক কিছু তথ্য পরকাশ হয়েছে। এই পাউডারকে যতটা নিরীহ মনে করা হয়, আসলে তা নয়। বরং এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাব থাকতে পারে।
১৪ ডিসেম্বর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানিটি তাদের বেবি পাউডারে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি বেমালুম চেপে গেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কোম্পানিটির শেয়ারে ধ্বস নামে শুক্রবার নাগাদ। রয়টার্স জানায়, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সালের মাঝে কোম্পানিটির কিছু তথ্য ঘেঁটে দেখা যায় মাঝে মাঝে তাদের পাউডারে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তারা এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকলেও তাদের ক্রেতাদেরকে এটা জানানো হয়নি। বেবি পাউডারের মূল উপাদান, ট্যালকম পাউডার তৈরি হয় ট্যালক নামের একটি খনিজ থেকে। এই খনিজে মূলত থাকে ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন ও অক্সিজেন। কিন্তু এই ট্যালকে অ্যাসবেস্টস থাকাটা ক্ষতিকর। লম্বা সময় ধরে অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে থাকলে কয়েক ধরণের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী মামলা করেন অতীতে, তারা দাবি করে জনসন’স পাউডার ব্যবহার করার কারণে তাদের ক্যান্সার হয়েছে। ২২ জন নারীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার দিতে আদেশ দেওয়া হয় কোম্পানিটিকে। তারমানে কী আপনারও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এই পাউডার ব্যবহার করলে? ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জনসন অ্যান্ড জনসন সহ ৩৪টি কোম্পানির ট্যালকম পাউডার পরীক্ষা করে, কিন্তু এতে কোনো অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্যালকম পাউডার ব্যবহারের সাথে ওভারিয়ান ক্যান্সারের সম্পর্ক পাওয়া যায়, তবে শুধুমাত্র যৌনাঙ্গে সরাসরি এই পাউডার ব্যবহার করলেই এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া এই পাউডার লাং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে কিছু গবেষণায় পাওয়া যায়। আপনি যদি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে স্পর্শকাতর অঙ্গে তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, তাহলেই অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। #collected |
0 Comments
667 Views
|