মানসিক যন্ত্রণা আর অস্থিরতার জন্য একটি মাত্র হারাম দৃষ্টিই যথেষ্ট।
মানসিক যন্ত্রণা আর অস্থিরতার জন্য একটি মাত্র হারাম দৃষ্টিই যথেষ্ট।
বর্তমান যুবসমাজের মানসিক অস্থিরতার অন্যতম কারণ হলো, বেপরোয়া হারাম দৃষ্টিপাত। কোনো নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ার পরপরই মনের মধ্যে কামনার আগুন জেগে ওঠে, এরপর সে অস্থিরতায় কাতরাতে থাকে, কিছু করতে পারে না। নামাযে মনোযোগ থাকে না, ইবাদতে আগ্রহ আসে না। . আমাদের বড় গোনাহগুলো তখনই হয়, যখন ছোট গোনাহগুলোর ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকি না। টেলিভিশনে খবর দেখা বা খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে কোনো কুচিন্তা আসে না। কিন্তু হঠাৎ কোনো সুন্দরী নারী বা খোলামেলা নারীর ছবি ভেসে আসা মাত্রই আমাদের মানসিক অবস্থা অন্যরকম হয়ে যায়। এই ছোট ব্যাপারটিই পরবর্তিতে বড় গোনাহের ক্ষেত্রে ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। . গায়রে মাহরামের সাথে আমরা ফেইসবুকে দ্বীনি কথাবার্তা দিয়ে চ্যাট করি। এরপর কখন-যে দ্বীনি কথাবার্তায় নিজেদের কথা ঢুকে পড়ে তা খেয়ালও থাকে না। অথচ শুরুতেই যদি সতর্কতা অবলম্বন করা হতো, তবে নিশ্চয়ই ফিতনার দরজা উন্মোচিত হতো না। . আমরা মানুষ, ভুল করি, শিখি, নিজেদের সংশোধন করি। হাদিসে বলা হয়েছে, প্রত্যেক আদম সন্তান গোনাহগার, তবে এদের মাঝে তারাই উত্তম, যারা তাওবাহ্ করে নিজেদের সংশোধন করে। সুতরাং ন্যাড়া বেলতলায় একবার যাক আর দশবার যাক, একজন মুমিন ব্যক্তি জেনে-বোঝে একই গোনাহ্ বারবার করে না। আল্লাহ্ আমাদের ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না। হাদিসে এসেছে, "মুমিন একই গর্তে দুবার দংশিত হয় না।" সুতরাং আমরা যারা পূর্বে ভুল করেছি, তাদের কেঁদেকেটে আল্লাহর নিকট তাওবাহ্ করা জরুরি এবং ভবিষ্যতে অনেক বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। . এই দুনিয়া কেবলই ধোঁকা। আখিরাতে এক আল্লাহ্ ছাড়া কাউকে পাশে পাবেন না। কাউকেই না। মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোন, সন্তানাদি - কেউ না। হারাম সম্পর্কের সঙ্গীকে তো পাবেনই না। সুতরাং আসুন! নিজের ভালোটা নিজেই বুঝি, নিজের জান্নাতের জন্য নিজেই চেষ্টা করি। জান্নাতে যেতেই হবে, জাহান্নাম থেকে বাঁচতেই হবে, কারণ এক ন্যানো সেকেন্ডও সেখানে অবস্থান করার মত সামর্থ আমাদের নেই। তাই, জান্নাতের পথে যা-কিছুকে কাঁটা মনে হবে, তা সরিয়ে দিন। যেগুলোকে পাথেয় মনে হবে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নিন। যে-আল্লাহকেই কেবল আখিরাতে পাশে পাবেন, তাঁকে দুনিয়াতেই আপন করে নিন। ওয়াল্লাহি! আপনি ঠকবেন না। সেই আল্লাহ্ আপনার মনকে প্রশান্তিতে ভরে দিবেন। এটাই আল্লাহর ওয়াদা। .
Posted By: eclipse
Post ID: 3873
Posted on: 4 years 10 months ago
Authorized by: eclipse