FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

যিকিরের ফযিলত মর্যাদা ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি

যিকিরের ফযিলত মর্যাদা ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি

*

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ""আমি কি তোমাদের আমলসমূহের সর্বোত্তমটি সম্পর্কে তোমাদের কে অবহিত করবো না, যা তোমাদের প্রভুর নিকট সর্বাধিক প্রিয়, তোমাদের মর্যাদাকে অধিক উন্নীতকারী, তোমাদের সোনা-রূপা দান করার চেয়ে এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের শক্রুদের হত্যা করা এবং তোমাদের নিহত হওয়ার চেয়ে উত্তম? সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেটি কী? তিনি বলেনঃ আল্লাহর যিকির। মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, কোন মানুষের জন্য আল্লাহর যিকিরের চেয়ে উত্তম কোন আমল নাই, যা তাকে মহামহিম আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারে।
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، مَوْلَى ابْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏"‏ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَرْضَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيْرٍ لَكُمْ مِنْ إِعْطَاءِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَمِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ ذِكْرُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مَا عَمِلَ امْرُؤٌ بِعَمَلٍ أَنْجَى لَهُ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ ‏.‏
সুনানে ইবনে মাজাহ্ (৩৭৯০)
📌 প্রতিদিন ১০০ বার
سُبْحَانَ اللَّهِ "‏ ‏
'"সুবহা্নাল্লাহ্‌'" পাঠ করলে ১০০০ সওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়।
[সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]
📌
َِالْحَمْدُ لِلَّهِ '
'আলহা্মদুলিল্লাহ্' মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দু’আ।
[তিরমিযী-৫/৪৬২, ইবনে মাজাহ-২/১২৪৯, হাকিম-১/৫০৩, সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]
📌 আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ কোন বান্দাকে যখন যে নিয়ামতই দান করেন, তাতে সে যদি বলে, ‘‘আলহামদু লিল্লাহ’’, তবে তা (প্রশংসা) তাকে প্রদত্ত জিনিসের চেয়ে অধিক উত্তম।
[সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮০৫;হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।]
📌 আবূ হুরায়রা ও আবূ সাঈদ (রাঃ) সাক্ষ্য দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
বান্দা যখন
‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান) বলেন, তখন মহান আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোন ইলাই নাই এবং আমিই মহান।
বান্দা যখন বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনি এক), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে, আমি একা ব্যতীত আর কোন ইলাহ নাই।
বান্দা যখন বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লা শারীকা লাহু ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শরীক নাই), তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমার কোন শরীক নাই।
বান্দা যখন বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর), তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে, আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, সার্বভৌমত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমারই।
যখন সে বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ ভিন্ন ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ হাসিলের কোন শক্তি নাই), তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমি ভিন্ন ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ হাসিলের কোন শক্তি নাই।
আবূ ইসহাক (রাঃ) বলেন, আল-আগার (রাঃ) আরো কিছু বলেছিলেন, যা আমি হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি। তাই আমি আবূ জাফর (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি কী বলেছিলেন? তিনি বলেন, আল্লাহ যাকে মৃত্যুর সময় এই বাক্য বলার সৌভাগ্য দান করবেন, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
[তিরমিযী ৩৪৩০, আত-তালীকুর রাগীব ৪/১৬৫, সহীহাহ ১৩৯০,সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৭৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। ]
📌
""""سُبْحَانَ اللَّهِ " "" َالْحَمْدُ لِلَّه""َ ""اللَّهُ أَكْبَرُ ‏"‏"
উম্মু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে একটা আমল বলে দিন। কেননা এখন আমি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, দুর্বল হয়ে গেছি এবং আমার দেহও ভারী হয়ে গেছে। তিনি বলেনঃ তুমি শতবার আল্লাহ আকবার, শতবার আলহামদু লিল্লাহ এবং শতবার সুবহানাল্লাহ পড়ো। তা জিনপোষ ও লাগামসহ একশত ঘোড়া আল্লাহর পথে (জিহাদে) দান করার চেয়ে উত্তম, একশত উটের চেয়ে উ

*




0 Comments 443 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024