পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে অক্টোবরের শেষে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা থাকে ভীষণ। কারণ মিষ্টি কুমড়া বা Pumpkin দিয়ে তৈরি করা হয় হ্যালোইনের বিশেষ বাতি। সবজি হিসেবেও এর অবদান কম নয়। মিষ্টি কুমড়ার মতো সুস্বাদু সবজি খুব কমই রয়েছে। হালকা মিষ্টি স্বাদের এই সবজিটি পাওয়া যায় সারা বছর জুড়ে। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার উপস্থিতি আপনাকে রাখতে পারে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে। কেননা মিষ্টি কুমড়া এমন একটি সবজি, যার রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। শুধু তরকারি হিসেবেই নয়, অন্যান্য ফলের মতো মিষ্টি কুমড়া ব্যবহার করতে পারেন সালাদ বা স্যুপ তৈরিতেও। জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার কিছু উপকারিতা।
১)মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বিটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো। বয়সজনিত রোগ বিশেষ করে রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী। ২)গাজরের তুলনায় মিষ্টি কুমড়াতে অধিক পরিমাণে বিটাক্যারোটিন। গাজরে যেখানে ১৩ মিলিগ্রাম বিটাক্যারোটিন রয়েছে, মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে ৩৩ মিলিগ্রাম বিটাক্যারোটিন। বিটাক্যারোটিন এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যে সব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজের ফলে শরীরের ভালো কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে এবং খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সবুজ, কমলা, হলুদ রঙের সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পরিমাণে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে পারে। ৩)অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়। ৪)মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
৫)মিষ্টি কুমড়াতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ দূরে রাখে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপাদান। ইউরিনেশনের সমস্যা কমায় ও কিডনিতে পাথর হতে বাধা প্রদান করে। ৬)মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই। ৭)মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।
Posted By: rebel
Post ID: 4092
Posted on: 4 years 5 months ago
Authorized by: eclipse
3 Comments560 Views
niladrita
Ha.amader pukur par eo ache. (Tagged: mostakim)-pumpkin- kumra khaimu vorta banaiya -bash-
4 years 5 months ago
Mostakim
পুকুর পাড়ে মিষ্টি কুমড়া আরও ভাল হয় -kickface- (Tagged: niladrita)