ফজরের নামাজ শেষে বের হয় উষা গাছে পানি দিয়ে ছাদের গেট খুলে দেয় তারপর চা এর কাপ টা নিয়ে ছাদে গিয়ে বসে ও ।
সকালের এই পরিবেশ টা ওর খুব পছন্দের । ঠান্ডা বাতাস গাছের পাতাদের ঝিরিঝিরি শব্দ পাখির ডাক , কয়েকটা ঘুঘু পাখির ছাদে এসে কি যেন খুটাখুটি করা এসব ই ওর ভাল লাগে । প্রতিদিন মনে হয় নতুন করে দেখছে । ছোট এই এক তলার বাড়িতে এসেছে ও এক বছর হলো সবে । চোখের পলকে কিভাবে এত গুলো দিন পেরিয়ে গেল ভেবে পায় না ও ।
এ বাড়ির লোক সংখ্যাও কম হলেও ভালবাসার কোনো অভাব নেই । এত বেশি পেয়ে ও নিজেই অসহ্য হয়ে উঠে । এখোনো মানাতে পারে নি নিজে কে আর এটা এ বাড়ির সকলেই বুঝে । তবে কেউ কিছুই বলে না ।
ও জানে এখানে বসে পুরোটা সকাল পার করলেও কেউ কিছুই বলবে না বরং ছাদে এসে নাস্তা টা দিয়ে যাবে অথবা এসে ডেকে যাবে । ও ভাবে ওর ভাগ্য এত ভাল কিভাবে হলো ,এখানেও ও নিজের বাড়ীর মতো আছে । পাঠক রা এতদুর পড়ে ভাববে যে ওকে হয়তো বাবা মা ধরে বেধে বিয়ে দিয়েছে এখানে কিন্তু তা নয় । এ বাড়ীর ছেলে টার সঙ্গে ওর সম্পর্ক ছিল । তবুও বিয়ে টা জোড় করেই দেয়া । ও তখন রাজি ছিল না ।
অবাক হয় ও কতজন ভালবাসার মানুষ কে পায় না আর ওকে জোড় করেই ওর প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে ,কি হাস্যকর !. পৃথিবীর সব হাস্যকর ঘটনা গুলো শুধু যেন ওর সাথেই ঘটে ।
সাদ এসে অফিসে যাওয়ার জন্য বিদায় নিয়ে গেল । ও এমনটাই করে , উঠে নিজেই বিছানা গুছিয়ে গোসল করে রেডি হয়ে ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হবে । ভাগ্য কতটা ভাল হলে ওর মতো স্বামী পাওয়া যায় ভাবে ও । সাদ ওর খেয়াল খুব ভাল মতোই রাখে , আজ অবদি কোনো প্রয়োজনের কথা বলতে হয় নি ওকে ,আগে আগেই সব এনে রাখে । শাশুরী তো নিজের মেয়ের মতোই ওকে ভালবাসে । এতো কিছুর পরেও কোথায় যেন আটকে থাকে ও । ওদের পরিচয় ছিল অনেক আগে থেকেই তারপর কিভাবে কিভাবে ভালবাসাবাসি ও হয়ে গেল । মোটেও সিরিয়াস ছিল না উষা ও ভাবতো সাদ ও বুঝি এমন । পরে ওর ধারনা ভুল প্রমাণিত করে সাদ পাগলের মতো ভালবাসতে থাকে ওকে । আর এর সুযোগ ও খুব ভাল মত নেয় , কিছু হলেই উল্টাপাল্টা কিছু করে সাদ কে জালাতো ও । যে কয়বার ই ওদের দেখা হয়েছে দুবার বাদে প্রত্যেক বার সাদ কিছু না বলে ছুটে ছুটে এসেছে এতদুর থেকে ।
উষা যোগাযোগ বন্ধ রাখলেই এটা করে ও । শেষ বার তো এমন হলো যে সোজা বাড়ীতে এসে পড়লো । সেদিন উষা ওর সামনে যায়নি । ওর বাবা মা সাদ কে বেশ পছন্দ করল । এরপর ওর রিলেটিভস্ নিয়ে আসা , বিয়ের কথা ফাইনাল হওয়া ওর অমতে শেষে বিয়ে টাও হয়ে যায় । তারপর ওর পাগলামি আরো বেড়ে যায় । না সাদ মোটেও বিরক্ত হয় নি । এই পাগলামিতেই অভ্যস্ত এখন ও ।
Posted By: rozelin
Post ID: 2267
Posted on: 5 years 3 months ago
Authorized by: Rhetoric
1 Comments639 Views
aslam420
Nice post.Real love hole airokom e hoi.Thanks aidoroner golpo share krar jonno.Ai doroner aro golpo share krle aro valo hoi.Podte moja lagbe