FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

কান্না কি? ও কান্না কতো প্রকার,, মেডিকেল সাইন্স

কান্না কি? ও কান্না কতো প্রকার,, মেডিকেল সাইন্স

কান্না কি? বা কত প্রকার — চোখের পানিতে কি কি থাকে এবং কি কি উপকারিতা আছে ? কেন চোখ দিয়ে পানি পড়ে ? চোখ ( Eye ) – পর্ব ১ ( Ref :- Eye Research journal ( Bristol Medical school of Uni ) , Biomedical Research inst & UCL Institute of Ophthalmology ( UK ) , National Eye Inst & Prof Mizanur Rohman ( Bangladesh ) Created by Ahsan ullah sumon) চোখের অসুখ নিয়ে সধারন অভিজ্ঞতা ছাড়া – আমার তেমন দক্ষ্যতা নেই , তারপর ও ফিজিও রিসার্চের সাথে সম্পর্ক যোক্ত কিছু বিষয় এবং বিশেষজ্ঞদের জার্নাল থেকে সংগৃহীত কিছু তথ্য তুলে ধরার চেস্টা করলাম – যা প্রত্যেকের উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস — – একজন মানুষ – কান্নার মাধ্যমে যেমনি ভূমিষ্ঠ হয় ঃঃঃ ঠিক তেমনি কান্নার মাধ্যমেই শেষ বিদায় ও নিতে হয় !!!!! – ইহাই চিরন্তন সত্য বা নিয়ম তবে কান্নার প্রধান কারণটা মানসিক। বিজ্ঞান অনুসারে কান্না বা চোখের জল আসাকে , ধরন অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে — ১.ব্যাসাল টিয়ার্স ( চোখকে ধুলাবালি থেকে রক্ষা করে এই কান্না) ২.রিফ্রেক্স টির্য়াস ( চোখের রিফ্রেসের জন্য এমন কান্না) ৩.ইমোশনাল টির্য়াস ( দু:খ কষ্ট অনুভব করার কান্না) সে জন্য ইমোশনাল টির্য়াস কেই মুলত কান্না বলতে পারি ( সুখদুঃখ, আনন্দ অনুভুতির কারনে চুখে যে জল আসে ) এবং অন্যান্য বিষয় সমুহ কে কান্না বলা হয়না বরং চোখ দিয়ে পানি পড়া বলা হয়ে থাকে । চোখের পানি আসে কোথায় থেকে ? চক্ষুগোলকের উপরে হাঁড়ের খোলসেন নীচে, বাদামের মতো এক ধরনের গ্রন্থি থাকে। নাম অশ্রুগ্রন্থি বা ‘লেকরিমাল গ্ল্যান্ড’। ল্যাটিন শব্দ ‘লেকরিমা’ মানে অশ্রু। গ্রন্থিতে যে তরল পদার্থ থাকে সেটাই আমাদের চোখের পানি বা কান্না । নাকের দিকে চোখের দুই পাতা যেখানে মিলিত হয় তার ঠিক আগে চোখের উপরের ও নীচের পাতায় একটি করে ছিদ্র আছে। এই ছিদ্র দুইটিকে পাংটা বলে। এই ছিদ্র দুইটি দিয়ে চোখের পানি নালী বা ক্যানালিকুলাস-এর সাহায্যে ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড থেকে সেই পানি আসে । ল্যাক্রিমাল নালী নাকের গোড়ার চামড়ার নীচে নাকের হাড়ের কুঠুরিতে অবস্থিত . চোখের পানিতে কি কি থাকে এবং কি কি উপকারিতা আছে ঃ — - ( সাধারণ ভাবে জানার কিছু আছে বিধায় – কয়েক লাইন বিশ্লেষণ ও তুলে ধরলাম ) চোখের পানি সবাধে নোনতা মনে হলেও এই পানির অনেক গুন আছে । এতে প্রোল্যাক্টিন হরমোন , আড্রিনো-করটিকট্ রপপিক হরমোন , লিউ-এয়ঙ্কাফিলিন এবং মিনারেল হিসাবে পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ বিদ্যমান বিশেষ করে লাইসোজাইম সহ আর অনেক ধরনের প্রোটিনের অস্তিত্ব আছে , যদি ও আর রিসার্চের প্রয়োজন —!! এই সব উপাদান সমুহ অজস্র চিকন নালী বেয়ে গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত রস নাকের পাশের কোণায় এসে জমে। সেখানে থাকে লেকরিমাল সেক বা অশ্রু থলিতে জমা হয় এবং এদের কাজ চোখের ক্ষতিকর জীবাণুগুলিকে ধ্বংস করে ফেলা । এইসব গ্রন্থি হতে পানির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে ব্রেইনের মুক্ত কেন্দ্র হতে আগত কিছু স্নায়ু বার্তা। ১ – ইমোশনাল টির্য়াস ( দু : খ- কষ্ট অনুভব করার কান্না ) ইমোশনাল টির্য়াস কে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- মানব জগতে সবচেয়ে বেশী কাঁদেন মা জাতী এবং প্রাণী জগতে দেখানো হয়েছে -সব চেয়ে বেশী আবেগ জাতীয় কান্না করে ইন্ডিয়ান মা হাতি এবং এরপর ই যে কোন পোষা প্রাণী তার মুল কারন ই হচ্ছে প্রোল্যাক্টিন এবং ম্যাঙ্গানিজের বেশী নিঃসরণ । অতিরিক্ত কিছু তথ্য চোখ মনের কথা বলে কিনা জানিনা তবে আবেগের কিছু ভাবাবেগ প্রকাশ করে তাও সত্য -৮১% বেলায় – যাদের একটু আবেগের কারনে চোখে পানি আসে তাদের মন কোমল এবং যাদের চোখে পানি আসেনা তাদের মন খুব কঠিন – তাও সত্য ( অবশ্য যে কোন অসুখ ও জন্মগত ত্রুটি জনিত কারন ছাড়া ) ঃ- রিসার্চ অনুসারে দেখা গেছে – আবেগ ও অনুসুচনা জাতীয় কারনে যাদের চোখে বেশী জ্বল আসে তাদের আড্রিনো- করটিকট্রপপিক হরমোন ,প্রোল্যাক্টিন ও ম্যাঙ্গানিজের ক্ষরন বেশী হয় এবং সে কারনে মস্তিষ্কের স্ট্রেস সেলের পরিমান হ্রাস পায় ৮০% । সেই হিসাবে সহানুভূতি বা ভালবাসা জাতীয় আবেগ বেশী বেড়ে যায় ( প্রাণী জগতে এই জাতীয় হরমোন প্রয়োগ করে তার প্রমান দেখানো হয়েছে ) নিরবে একা কাঁদলে পাপ মোচন কিভাবে হয় তা জানিনা তবে মানসিক অবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয় তা সত্য ( অভ্যাসের ) সেই হিসাবে হয়তো পাপের গ্ল্যানি থেকে বাঁচার উপায় বলে মনে করা হয় । কোন একসময় প্রাচীনকালে পেশাজীবী শোকগ্রস্তরা শোকসন্তপ্ত বিমূঢ় ও হতচেতন পরিবারের সদস্যদের বিহ্বলতা ভাঙাতেন কান্নার মাধ্যমে বা ধর্মীয় মনীষীরা ও একা নীরবে, নিভৃতে কেন কাঁদতেন সবাই আমার চাইতে বেশী জানার কথা । তারপর ও এর মধ্যে অবশ্যই ভাল দিক বেশী এবং প্রত্যেক ধর্মীয় অনুভূতির দৃষ্টিতে বিষয় টি খুবী গুরুত্ব পূর্ণ । যে কোন মানুষ কোন ধরনের আঘাত বা দুখ পাওয়ার পর যদি প্রচুর কাঁদে ( অবশ্যই মায়া কান্না বা লোক দেখানোর কান্না এর আওতায় পড়েনা ) এবং এরপর সে যে সিদ্ধান্ত নেয় তাই ৯০% কার্যকর করে থাকে । প্রমান হিসাবে দেখানো হয়েছে ৭০% মানুষ তখন মনে করে তার দৃষ্টিতে সে নিজেই সঠিক । সে সময় উক্ত ব্যাক্তি নিজের শারীরিক মারাত্মক ক্ষতি অথবা সামাজিক বা পারিবারিক যে কোন বিপজ্জনক কাজ করতে সময় লাগেনা — তার কারন হঠাৎ করে স্ট্রেস সেলে করটিসেলের পজেটিভ চার্জ কমে নেগেটিভ বা সাইলেন্স হয়ে যায় । তখন উক্ত ব্যাক্তি মনে করে সে যা করছে তাই সঠিক । সে সময় অনেকের চোখের পর্দা ফেটে যাওয়া অসম্বভ কিছু নয় অথবা উচ্চ- রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হার্টের স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি ঘটতে পারে এবং ৭% বেলায় অন্য কাউকে আঘাত করতে দেখা যায় ( যা ঘটনার মুল হোতাকেই করে থাকেন ) মেজর ডিপ্রেশন থেকেও কান্নার ঢেউ ছুটে আসতে পারে। এ অবস্থায় নিউরোট্রান্সমিট ার সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যায়। এটি একটি মানসিক রোগ। মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমেই রোগীকে সব ধরনের উপসর্গ থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। রোগভোগ দীর্ঘায়িত না করে মানসিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করাই বুদ্ধিদীপ্ত কাজ। কাঁদলে মানসিক যন্ত্রণা কিছুটা লাগব হয়, তাও সত্য – কারন অনুসারে বিজ্ঞানিদের ধারনা ইমোশনাল টির্য়াসে একটু বেশি ম্যাঙ্গানিজ এবং আড্রিনো-করটিকট্রপপিক হরমোন থাকে । সে কারনে স্ট্রেস সেল কে ধমিয়ে রেখে করটিসেলের নিসরন থেমে থাকে বিধায় ব্রেইনকে সাময়িক কিছুটা নিস্থেজ রাখতে সহায়ক । সে জন্যই অনেক সাইকোলজিস্টরা বলে থাকেন @ রিলিজ অব ইমোশন’। কেঁদেকেটে স্বতঃস্ফূর্তভাব ে ঘটনার অনুপুঙ্খ বর্ণনা করা গেলে কষ্ট থেকে উপশম পাওয়া সহজতর হয়। বা যন্ত্রণাময় ঘটনার পর কেঁদেকেটে ঘুমাতে পারলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার যায় । ( Crying helps you deal with stress. Being unafraid to cry makes you strong.Releasing your tears helps you flush out toxins.A “bad” cry may make you feel worse. ) চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে – ইমোশনাল টির্য়াস ছাড়া চোখ দিয়ে যে যে কারনে পানি পড়তে পারে — ভাইরাস এলারজি ও পরিবেশগত কারনে ( ধুলাবালি,বিষাক্ত গ্যাস ইত্যাদি ) অতিরিক্ত সর্দি হলে নাকের প্রদাহের কারণে, লেকরিমাল নালির ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে বা সুরু হয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে ( এই অসুখটি চিকিৎসকের পরিক্ষা- নিরিক্ষা ছাড়া সাধারণ ভাবে বুজা খুবী কষ্টকর ) ( বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে দেখুন — চুখ উঠা কি ইত্তাদি ) চোখের পাতায় ক্ষত হলে ঃ- এ সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ে , কারও বেলায় রক্ত পড়ে, পাতায় ব্যাথা হয়, চোখের পাতা ফুলে যায়, ( চোখে অন্য কোন আঘাত আছে কিনা দেখতে হবে ) জীবাণুমুক্ত প্যাড বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বিশ্রাম রাখতে হবে । চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়াতে হবে। চোখের ক্ষত বেশী হলে ব্যান্ডেজ করে চক্ষু চিকিৎসকের নিকট রেফার করতে হবে। আঘাতের ফলে অসাবধানতাবশত, দুর্ঘটনার কারণে বা খেলাধুলার সময় চোখে/ কর্নিয়াতে আঘাত লেগে বা কর্ণিয়াতে ঘষা লাগলে যা হতে পারে — লক্ষণ , রোগী তাকাতে পারে না, আলো সহ্য হয় না, চোখে ব্যাথা হয়, পানি পড়ে এবং ঝাপসা দেখা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবাণুনাশক চোখের মলম দিয়ে প্যাড ব্যান্ডেজ করে ২৪ ঘন্টা চোখ বেধে রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা পর আরাম না হলে হাসপাতালে রেফার করতে হবে। মনির উপর সাদা অংশে দাগ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে রেফার করতেই হবে কর্ণিয়াতে ঘা ঃ – আমাদের দেশে কর্ণিয়ায় ঘা হওয়ার অন্যতম কারণ চোখে আঘাত যেমন- কর্ণিয়ার উপর লোহা, কাঠ, ধান ইত্যাদির আঘাত। চোখের উপর ভোতা বা ধারালো অস্ত্রের আঘাত। রাসায়নিক বস্তু চোখে দেয়া।চোখে জীবাণু দ্বারা সংক্রামন করা-ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি। লক্ষণ ঃ- চোখে ভীষণ ব্যাথা, চোখ লাল হওয়া, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, চোখের পাতা নড়ানো, আলো সহ্য না হাওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, চোখের মনিতে সাদা আবরণ পড়া,কর্ণিয়ায় ঘা সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবাণুনাশক ড্রপ ২/৩ ঘন্টা পর পর দিতে হবে, মুখে এন্ট্রিবায়োটিক খাওয়াতে হবে এবং যথা শীঘ্র চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত । ক্ষতের কারণে হলে – ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট চিকিৎসা দিতে হবে , জীবাণুনাশক ড্রপ ছাড়া চোখে অন্য কিছু দেয়া যাবে না। প্যাড-ব্যান্ডেজ দিতে হবে। চোখে আঘাত লেগে চোখ ছিদ্র হওয়া — তীক্ষ্ণ বা ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত লেগে অক্ষিগোলক কেটে ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে প্রায়ই চোখের ভিট্টাসহিউমার, আইরিশ ইত্যাদি বেরিয়ে আসতে পারে। লক্ষণ সাধারণত এক চোখে হয় চোখে ব্যথা হয়, দৃষ্টি শক্তি একেবারে কমে যায় বা থাকে না । আঘাত ও ইনফেকশন জনিত কারন ছাড়া চুখের সাথে সম্পর্ক যোক্ত অঙ্গের ত্রুটিগত কারনে ও চুখ দিয়ে পানি পড়তে পারে ঃ - যেমন, কোন কারণে অস্রুগ্রন্থিতে অতিরিক্ত পানি তৈরী হয় অথবা পানি তৈরীর পরিমাণ ঠিক আছে কিন্তু অশ্রুনালী দিয়ে পানি যাওয়ার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয় অর্থাত্ অশ্রুনালী বন্ধ থাকে তখনই সেই পানি চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। ( ডেকোরিওসিসটাইটিস” ) এর চিকিৎসায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে শিশুর জন্মের পরপরই যদি অশ্রু-নালি বন্ধ থাকে, সে ক্ষেত্রে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত এক বছরের মধ্যে আপনি আপনিই অশ্রু-নালি খুলে গিয়ে পানি পড়া ভালো হয়ে যায়। তরুণ বয়সে অশ্রু-নালির প্রদাহজনিত কারণে অশ্রু-নালি সরু হয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অশ্রু- নালিতে ইনফেকশন হয়ে পুঁজ জমতে পারে। চোখের ভেতরের কোনায় চাপ দিলে পানি ও পুঁজ বের হতে পারে। বয়স্ক লোকের অশ্রু-নালি বয়সজনিত পরিবর্তনের কারণে সরু হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বয়সের কারণে চোখের চারদিকের মাংসপেশি দুর্বল হওয়ার কারণেও অশ্রু- নালি অকার্যকর হয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। তবে যেসব বয়স্ক লোকের ছানিরোগ আছে, আবার তাদের যদি অশ্রু-নালির সমস্যার কারণে চোখ থেকে পানি ও পুঁজ পড়ে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ছানি অপারেশনের আগে ডাক্তারের পরামর্শে বয়সভেদে ডিসিআর অথবা ডিসিটি অপারেশন করাতে হবে তা না হলে চোখের কোনায় জমে থাকা জীবাণু ছানি অপারেশনের সময় চোখের ভেতরে ঢুকে মারাত্মক ইনফেকশন করতে পারে। চিকিৎসা ঃ ( অশ্রু নালি প্রদাহ যোক্ত হলে ) ঃ- ৮৫% বেলায় অপারেশনের প্রয়োজন হয় তবে বর্তমানে লেজার পদ্দতিতে তা তেমন জঠিল বিষয় নয় । প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা করা হয়। অস্রুগ্রন্থির প্রদাহ থাকলে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয় এবং চোখে এন্টিবায়োটিক ফোঁটা দিতে হয়। ব্যথা থাকলে চোখের কোণায় অস্রু-গ্রন্থির অবস্থানে হালকা গরম স্যাঁক দিতে হয় ও বেদনা নাশক ওষুধ খেতে হয়। অস্রু-গ্রন্থির ফোড়া বা ল্যাক্রিমাল অ্যাবসেস হলে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভের জন্য অপারেশন করতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে অস্রু-নালির সমস্যার কারণে চোখ থেকে পানি পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে চোখের কোনায় মালিশ এবং এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পানি পড়া বন্ধ হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রোবিং সার্জারির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করে থাকেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা তরুণ বয়সে অস্রু-নালির সমস্যার কারণে চোখ থেকে পানি পড়লে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ড্রপ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েডের মিশ্রণ ব্যবহার করলে এ সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয়। -গ্লুকোমা — আইরিশের প্রদাহ ইত্যাদি রোগের কারনে চোখ দিয়ে পানি পড়ে থাকে ( বিস্থারিত পর্ব-৩ এ দেখুন ) অধিকাংশ অসুখের পূর্ব লক্ষণ চোখ দেখে বোঝা যায় কিভাবে ? । যেমন ঃ লাল চোখ ঃ- সারাক্ষণ চোখ লাল হয়ে থাকাটা উচ্চ রক্তচাপের একটি পূর্ব সংকেত হতে পারে। যখন চোখে আলো ফেলআ হয় তখন রেটিনায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্ত নালী দেখা যায় । উচ্চ রক্তচাপের ফলে এগুলো অনেক লাল ও ফুলে লাল হয়ে থাকতে দেখা যায় তখন দেরি না করে রক্ত চাপ মেপে দেখা উচিৎ । চোখে হলদে ছোপ ঃ- চোখের কোনো যায়গায় ছোট করে হলুদ ছোপ বা রেটিনায় ছোট পানির ফোঁটার মত অথবা চোখের সাদা অংশে বিন্দু বিন্দু রক্ত জমে লাল দাগ দেখা গেলে বুঝতে হবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষন সে সময় রক্তের সুগার পরিক্ষা করে দেখা উচিৎ । চোখের কর্নিয়ার চারপাশে গোল দাগ ঃ- চোখের কর্নিয়ার চার পাশে যদি বৃত্তাকৃতির সাদা দাগ থাকে তাহলে সেটা কোলেস্টেরল বেশি থাকার লক্ষণ। আবার যাদের চোখের পাতায় বা তার আশে পাশে সাদা চর্বির আস্তর জমা থাকে তাদের হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চোখের পাতার ভেতর ফ্যাকাশে হওয়া ঃ- উপরের ও নিচের চোখের পাতার ভেতরের অংশ যদি লালচে না হয়ে ফ্যাকাসে থাকে তাহলে সেটা রক্তশূন্যতার লক্ষণ। চোখের উপরের ও নিচের পাতা টেনে দেখুন। যদি ফ্যাকাসে হয় তাহলে আপনার শরীরের আয়রনের অভাব আছে মনে করতে হবে, সে জন্য রক্তের হিমোগ্লোবিন পরিক্ষা করে দেখা উচিৎ । ঢুলু ঢুলু চোখের পাতা ঃ- কোনো কারণ ছাড়া চোখের পাতা ঢুলু ঢুলু হয়ে গেলে সেটা মুখের অস্থায়ী প্যারালাইসিস এর লক্ষণ হতে পারে। আর যদি এর সঙ্গে কথাও জড়িয়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে এটা স্ট্রোকের লক্ষণ। অনেক সময় এটা ব্রেইন টিউমারের লক্ষণও হতে পারে। – হলুদ চোখ ঃ- চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া লিভারের সমস্যার লক্ষণ। বিভিন্ন রকমের জন্ডিস ও লিভারের অন্যান্য জটিল সমস্যার কারণে চোখ হলুদ হয়ে যায়। তাই চোখ হলুদ হয়ে গেলে সাথে রক্তের বিলিরুবিন পরিক্ষা করে নেওয়া উচিৎ । দুটি পিউপিল দু-ধরনের হলে ঃ- দুই চোখের পিউপিল সাধাণরত একই আকারের হয় এবং একই সমান আলো ঢুকে। আপনার দুই চোখের পিউপিল যদি দুই রকম হয় তাহলে স্ট্রোক, ব্রেইন টিউমার কিংবা অপটিক নার্ভ টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। সে জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ । রক্ত জমাট বাধা ঃ- চোখে বিভিন্ন সমস্যার কারণে কিছুটা বড় আকারে রক্ত জমাট বাধার মতো চিহ্ন দেখা যায়। এটি হতে পারে মারাত্মক কাশি থেকে শুরু করে ফাংগাস সংক্রমণ জাতীয় যে কোন জীবাণুর আক্রমন । চোখে চুলকানি ঃ- অ্যালার্জি থাকলে প্রায়ই তা চোখে চুলকানির সৃষ্টি করে। এতে চোখ ফুলে যেতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে তা লাল হয়েও যেতে পারে। ধূলাবালি কিংবা অ্যালার্জির প্রতি সংবেদনশীল কোনো খাবার খেলে এটি হতে পারে। এতে করে অনেক সময় অনেকের চোখ শুকিয়ে যেতে ও দেখা যায় । শুষ্ক চোখ ঃ- নানা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় চোখের শুষ্কতা আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ঘুমের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ কিংবা উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকার ওষুধ সেবনে। তবে চোখের কিছু রোগের কারণেও আর্দ্রতা তৈরিকারি গ্ল্যান্ডটি অকার্যকর হয়ে এমনটা হতে পারে। কাছের জিনিস দেখতে সমস্যাঃ- অনেক মানুষই বয়স হলে এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়। তবে তা ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিলে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে দীর্ঘদিন আটকে রাখা যায়। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও এ সমস্যা হতে পারে। ঝাপসা দৃষ্টিঃ- চোখের নানা সমস্যার কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের বেলায় প্রেসার খুব বেশী বেড়ে গেছে মনে করতে হবে । হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখা ঃ- রেটিনার মারাত্মক সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে সেই সাথে যদি এ সমস্যার সঙ্গে চোখে ছায়া দেখা যায় তাহলে তা রেটিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। চোখে ব্যথা ঃ- চোখে কোন কারন ছাড়া মারাত্মক ব্যাথা অনুভব করলে সেই সাথে মাথার অন্যান্য যন্ত্রনা অনুভব করলে বুঝতে হবে ব্রেইনের ভিতরে টিউমার বা সে জাতীয় কিছু হওয়ার আশঙ্কা আছে — সে জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্ষ করে, কেন ব্যাথা করতেছে – বিষয় টি পরিস্কার হওয়া উচিৎ ।

*




0 Comments 2113 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024