ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে গেছিলাম একটু কাজে। পকেটে টাকা খুবই সীমিত। খুব ক্ষুদা লাগছে। ভাবনা চিন্তা না করে একটা দোকানের সামনে যেয়ে ২টা সিঙ্গারা নিলাম। একটা শেষ আর একটা মুখে দেব এই সময় পেছন থেকে ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চা হাত টা আগিয়ে দিয়ে দারিয়ে রইল। আমি রাস্তার অনাথ বা ভিক্ষুকদের পাত্তা দেই না কারন এটা এখন একটা বিজনেস। ( অবশ্যই সবাই এক না )
আমি পিচ্ছিটার দিকে তাকাতেই কেমন যেন একটা মায়া কাজ করল। আমি সিঙ্গারাটা না খেয়ে পিচ্ছিকে দিয়ে দিলাম। এরপর যা হল আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। :(
৬-৭ বছরের বাচ্চাটা সেটা নিয়ে টার প্রতিবন্ধি ভাই এর কাছে দৌড়ে যেয়ে খাইয়ে দিয়ে আসল। সত্যি বলতে সাথে সাথে আমার ছোট বোনটাকে মনে পরে গেল। যখন রাতে বাসায় ফিরি ও বায়না ধরে কি নিয়া আচ্ছ আমার জন্য। হয়ত এই মেয়েটিরও ইচ্ছে করে বায়না ধরার কিন্তু বায়না জিনিসটাই হয়ত সে জানেনা :(
এরপরের কাহিনি দয়া করে জানতে চাবেননা ...... কি করলাম, কেন করলাম, কেন বলছি না কারন এগুলা সত্যি এখন সবাই শো-অফ মনে করে। শুধু এটাই বলতে পারি পরবর্তীতে এক বন্ধুর থেকে বিকাশ করে আমার কাজ কমপ্লিট করছি।
তবে হ্যাঁ, সেই মুহূর্তটা......... যখন প্রতিবন্ধী ভাইটি অনেক কষ্ট করেও হাসতে পারল না কিন্তু তার ছোট বোনটির হাসি আমি কোনদিন ভুলতে পারব না। এই পরম তৃপ্তির হাসি সে শেষ কবে হেসেছে নিজেও জানে না।
সবাইকে একটা কথা বলতে চাই। রাস্তায় ভিক্ষুকদের বা ফেরিওয়ালাদের সাহায্য করতে না পারেন দয়া করে অবহেলা/তুচ্ছ-তাছিল্ল বা ধমক দিবেন না। হোক সেটা তার রুজি বা বিজনেস। তারাও মানুষ। সূর্য উদয়ের পর থেকে আপনার আমার মত তারাও তাদের পরিবারের কারও না কারও মুখে হাসি ফুঁটানর জন্য এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
বেঁচে থাকুক প্রতিটি ভাই বোনের ভালবাসা বেঁচে থাকুক প্রতিটি মানুষের মনুষ্যত্ব বেঁচে থাকুক প্রতিটি মানুষের মুখের হাসি :)
আসুন সবাই চেষ্টা করি প্রতিদিন কারও না কারও মুখে হাসি ফুটানোর :)
Posted By: durbin
Post ID: 3439
Posted on: 5 years 11 months ago
Authorized by: vivi