ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন যিনি, উনি চাকুরির জন্য বেশ সহজ শর্ত দিলেন। নিকাবটা ছেড়ে দিন। মুখ না ঢেকে কেবল হিজাব করেন। তাহলেও অাপনাকে নিতে পারবো।
বিষয়টা জায়েজ নাজায়েজের ছিল না। বিষয়টা ছিল ভালবাসার সাথে সমোঝতা। অাল্লাহর প্রতি যে ভালবাসার চিহ্ন ছিল এই নিকাব, সেটাকে অাজ ছাড়তে হবে। কী করা যায়?
টেবিলের সামনে বসে থাকা মানুষটির কাছে কিছু চাইতে হবে না সরাসরি। কেবল একটু ইশারা করলেই খামে ভরা এক বান্ডিল টাকা ঢুকে যাবে ড্রয়ারে। গিফট বা সার্ভিস চার্জ, কিংবা অন্য যে কোন নামেই হালাল হয়ে যাবে টাকা খানা। কেউ সন্দেহ করবে না। কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না।
কিন্তু সেই ভালবাসার দাবী অাবারো সামনে এসে দাঁড়ায়। এ কি নিজের সাথে প্রতারনা নয়? একি সেই মহান মালিকের সাথে প্রতারনা নয়, যেই মালিক এরকম একটি পাপ করার মুহুর্তেও তার অক্সিজেন বন্ধ করে দেন নি!
...
ফেসবুক প্রফাইল। কিংবা মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্টে সেইভ করা একটি নাম্বার। প্রতিদিন যোগাযোগ হত। হতো কথা কিংবা চ্যাট। অাজও হবে।
কিন্তু থামিয়ে দিল সেই ভালবাসা। এই সুস্থ হাত, এই সুন্দর দুটি চোখ, এই মিষ্টি কন্ঠ বা ভরাট গলার অাওয়াজ যিনি না চাইতেই দিলেন, এ কি তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা নয়?
---------
এভাবেই লড়াই বাঁধে প্রায় প্রতিদিন। রবের গোলামী ও নিজের ইচ্ছা অার চাহিদা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ছাড় তো একদিকে দিতেই হবে। একটাকে গ্রহন করে, অপরটার সাথে কম্প্রোমাইয করা ছাড়া উপায় থাকে না। কাকে ছাড়বো, কাকেই বা ধরবো।
কেউ আঁকড়ে ধরে নগদকে, বাকির খাতায় শুন্য থাকে। কেউ ছেড়ে দেয় সব, পেয়ে যায় তাঁর মালিককে।
إنك لن تدع شيئاً لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তুমি আল্লাহর জন্য কিছু ছাড়, আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তোমাকে এমন কিছু দান করবেন, যা তোমার ছেড়ে দেয়া বস্তু থেকে অনেক উত্তম হবে। - (মুসনাদে আহমাদ, হাদিসের মান:সহিহ)