প্রিয় অনিমেষ, জানো অনিমেষ ওরা সেদিন আমায় গঙ্গার জলে সুগন্ধি সাবানে স্নান করাবে। কপালে সেদিন পরাবে তিলক -চন্দন।সিঁথিতে চওড়া করে টকটকে লাল সিঁদুর দেবে।নতুন শাখা নতুন শাড়ী।আলতা পরাবে।চন্দন কাঠের একটা খাট ও দেবে।ধূপ-দ্বীপ জ্বালানো হবে আমার মাথার এককোণে।একপাশে রাখবে একটা ছোট্ট তুলসী চারা।
এমন ভাবে আমায় সাজাবে সেদিন যেনো মনে হবে আমার আবার বিয়ে হবে।পালকি আসবে খাটিয়া রুপে।আগুন হবে বর।সাজিয়ে গুছিয়ে দিবে সবাই যত্ন সহকারে।
সাজানো হলে সেই সারি -সারি করে সাজানো চন্দন কাঠের খাটে আমায় শুইয়ে দিবে।চারপাশ থেকে আসবে মন্ত্রের মুগ্ধ করা সব শব্দ।আগুন নিয়ে ঘুড়বে আমার চারপাশে।তারপর আগুন টাকে আমার মুখে র ঠিক উপর টাতে রাখবে।জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠবে আগুন আমার সারাটি দেহে।সন্ধি হবে আগুনের সাথে।তখন আমি শান্তির দেশে যাবো।
আগুন নিভে যাবার আগেই তোমরা আবার ব্যস্ত হবে নিজেরা নিজেদের নিয়ে। জল ঢেলে ঠান্ডা করবে আমার চিতা। বরাবরের জন্য ঠিকানা করে দেবে ওই শষান ঘাটের একটা কোনে।
চোখের কোনায় লেগে থাকা একটু জল মুছে নিবে।বাড়ী ফিরে যাবে সবাই আবার আমায় একলা করে।আমি একলা আবার একলা।তবে তখন আর মায়া থাকবে না।কারো প্রতি রাগ,-অভিমান, দুঃখ-কষ্ট কিচ্ছু থাকবে না।
কাঁদবে,হাসবে আমায় ভাববে কিন্তু তখন আর আমি থাকবো না।থাকবে শুধু আমার চিতা।শেষ দেখা হবে আমার চিতা।
ইতি, (তোমার অনিচ্ছা।)
★★ঠিকানা বিহীন এক চিঠি। লিখিয়েঃ-ঋষিতা ঋতু।
Posted By: vivi
Post ID: 3644
Posted on: 5 years 2 months ago
Authorized by: vivi