শিশিরের আজ বিয়ে।শিশিরের মন খারাপ।বিয়ের ৫ দিন আগে জানতে পারে মেয়ে খুব রাগী।ওকে ধরে ও মারতে পারে।অভিমান ও বেশি।আরো অনেক গুণ আছে যা শিশিরের পছন্দ হয় নি।তাছাড়া ও মেয়ে ওর ১ বছরের ছোট।ওর ইচ্ছা ছিলো যেন ৪/৫ বছরের ছোট হয়।তাহলে মেয়ে ওকে দেখে ভয় পাবে।শিশির ওর মাকে বলেছিলো মা এই মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো না।কিন্তু ওর মার এই মেয়েকে খুবই পছন্দ।তাই শিশিরকে বিয়েটা করতে হচ্ছে।বিবাহ যখন শেষ হলো শিশিরের ইচ্ছা করছিলো অনেক দূরে পালিয়ে যাই।কিন্তু পারলো না।বিয়ের ১ম দিন শিশির বিকাল ৪ঃ৩০ এ ঘুম দিলো।৫ টাই কে যেন ওকে কান টেনে উঠিয়ে দিলো।চোখে একটু পানি ও ছিটিয়ে দিলো।শিশিরের ইচ্ছা করছিলো জোরে একটা থাপ্পড় মারতে।কিন্তু মেয়ের চোখ দেখে শিশির ভয় পেয়ে গেলো।এই মেয়ের সাথে সারাজীবন থাকতে হবে।কি করে থাকবে?মেয়েটা বললো আছরের নামাজ পড়েন।শিশির শুধু শুক্রবারে নামাজ পড়ে।ওর মা ওকে অনেকবার বলেছে কিন্তু শিশির নামাজ ধরে নি।শিশির বললো শুক্রবারে পড়বো।মেয়ে এবার বললো পড়বা কিনা বলেন? এবার শিশির খুব ভয় পেয়ে গেলো।মনে হলো প্রথম দিনই যদি বউয়ের হাতে মার খেতে হয় তাহলে তো লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারবে না।বাধ্য হয়ে অজু করে নামাজ পড়তে যাবে এমন সময় মেয়েটা বললো শুনুন।শিশির বললো আপনার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করছে না।মেয়েটা বললো মসজিদে যান।২৭ গুণ সাওয়াব বেশি পাবেন।শিশির বললো আমাকে নিয়ে আপনার বেশি চিন্তা করতে হবে না।১ দিনের পরিচয়।আর আপনি আমার উপর জোর করছেন।মেয়েটা এবার বললো মসজিদে না গেলে আমি রাতে কিছু খাবো না।শিশির ওর কথা শুনলো না।নামাজ বাসায় পড়ে নিলো।পড়ার পর অনেক শান্তি লাগলো।মাগরিব ও পড়লো।মেয়েটার বলা লাগে নি।নিজ থেকেই মাগরিব পড়ে নিলো।এশা ও পড়লো নিজ থেকেই।একাকী অন্য একটা ঘরে শুয়ে ছিলো।রাত ১০ টা।শিশিরের মা এসে বললো স্নেহা(শিশিরের স্ত্রী ) কিছু খাই নি এখনো।বলছে খেতে ইচ্ছা করছে না।তুই বললে নিশ্চয় খাবে।শিশির স্নেহার কাছে গেলো।ওকে বললে খাবেন কখন।স্নেহা চুপ।বললো আপনি যখন মসজিদে যাবেন তখন।যদি ফজরের সময় যান ফজরে।৩ দিন পর গেলে ৩ দিন পর।শিশিরের এবার কষ্ট লাগলো ওর জন্য।বললো আপনি দয়া করে খান।আমি ফজরের সময় যাবো কথা দিলাম।স্নেহা এবার বললো আপনি খেয়েছেন?শিশিরের তো মনেই ছিলো না সে খাই নি।বললো,না।স্নেহা কিছু না বলে চলে গেলো।খাবার নিয়ে আসলো।দেখলো একটা প্লেট।বুঝতে পারলো ওরজন্য নিয়ে এসেছে।বললো একসাথে খাবো আপত্তি আছে আপনার?শিশির হেসে বললো আমার তো একা খাওয়া অভ্যাস।স্নেহা এবার বললো বসেন।দুইজন ই বসলো।ও কিছু না বলেই শিশিরকে খাওয়াই দিলো।তারপর বললো এবার আপনি আমাকে খাওয়াই দেন।কি আর করার।শিশির ও ওকে খাওয়াই দিলো।তারপর বললো রোজ এভাবে খেলে আপনার সমস্যা হবে?বললো না।তারপর দুইজন কিছুক্ষণ চুপ চাপ বসে থাকার পর স্নেহা বললো আমার সব কথা তুমি শুনবা।তোমার সব কথা ও আমি শুনবো।বিয়ে করেছ।সব কথা শুনতে হবে।চুপ করে থাকলো শিশির।তারপর শিশির বললো একটা কথা বলবো।স্নেহা বললো বলো।শিশির বললো আপনি থেকে এতো তাড়াতাড়ি তুমি।স্নেহা এবার বললো প্রথম দিকে তাই আপনি বলছিলাম।এখন তুমি/আপনি দুইটাই বলবো।শিশির বললো তোমাকে একদিনেই ভালোবেসে ফেললাম।অথচ তোমাকে বিয়ে করার ইচ্ছাই ছিলো না।স্নেহা এবার শিশির কে জড়িয়ে ধরলো।তারপর বললো সারাজীবন আমাকে ভালোবাসবা।শিশির বললো ঠিক আছে।শিশির বললো আদর করো।স্নেহা বললো তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়লে আদর করবো।শিশির বললো ঠিক আছে পড়বো।তারপর স্নেহা আবার জড়িয়ে ধরলো।তারপর ওর হাতটা ধরে বললো ওয়াদা করছি তোমার হাত কখনো ছাড়বো না।শিশির ও ওয়াদা করলো।
Posted By: Uposonghar (Premium User!)
Post ID: 3784
Posted on: 4 years 11 months ago
Authorized by: ESHA