coronavirus আপনারা সকলে নিশ্চয়ই জানেন যে হঠাৎই একটি নতুন আতঙ্ক আমাদের সবাইকে তাড়া করে বেড়াচ্ছ হ্যাঁ আমরা করোনা ভাইরাসের কথাই বলছি আপনারা ইতিমধ্যে শুনেছেন যে এই মারাত্মক ভাইরাস কিভাবে চিনে একের পর এক মৃত্যুকে ডেকে আনছে. কিন্তু জানেন কি এই ভাইরাসের ক্ষতিকারক প্রভাব ভারত আমেরিকা এবং সৌদি আরবে পৌঁছে গেছে. চীনের এই ভাইরাস কে নিয়ে ভারত ও সর্তকতা বাড়ছে.
দেশের রাজধানী দিল্লি মুম্বাই চেন্নাই ব্যাঙ্গালোর হায়দ্রাবাদ প্রভৃতি জায়গায় থার্মাল স্ক্রীনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে. চীন ও হংকং থেকে আসা যাত্রীদের এই থার্মাল স্ক্রীনিং করা হবে. এবং প্লেনে চড়ার আগে তাদের সেল্ফ রিপোর্টিং ফর্ম ফালাব করতে হবে. ওয়াল্ড হেলথ অর্গানিজেশন এরকম পরিস্থিতিতে এমারজেন্সি মিটিং ডেকেছে. এই বইটিকে ঠিক করবে যে কোন ভাইরাস থেকে রোগগুলোকে ইন্টারন্যাশনাল ইমারজেন্সি ডিজিজ বলা যাবে কিনা. আমেরিকাতে এই ভাইরাস সংক্রমনের একটি ঘটনা জানা গেছে.
coronavirus
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে এই ভাইরাস চীনের হুয়াং থেকে আমেরিকায় এসে পৌঁছেছে. এই কৌরা ভাইরাস গত ডিসেম্বর মাস থেকে চীন ও তার প্রভাব দেখাতে শুরু করে. কিন্তু এখন এই ভাইরাস চীনের সীমা পার করে অল্প অল্প করে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে. করণা এই নামটি একটি বিহারের ব্র্যান্ড ও সূর্যের প্লাজমার ক্ষেত্রেই প্রচলিত ছিল. কিন্তু এখন এই নামটি প্রাণঘাতী পরিচয় দেয়. কিন্তু আসলে এটি কি? কেন এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী রোগ. আর এর প্রতিকারের উপায় কি? আজকে আপনাদের সেই কথাটি বলবো.
কি হবে কোন ভাইরাস মানুষের শরীরে পৌঁছালো তার মুখ্য কারণ এখনো জানা যায়নি. তবে এ সংক্রান্ত নানা মতামত রয়েছে শোনা যাচ্ছে এবং ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে ননভেজ মার্কেট থেকেই করোনা ভাইরাসের জন্ম. বিজ্ঞানীদের মতে এই খানে বিক্রি হওয়া বর্ণ প্রাণীর শরীর থেকে এই কোন ভাইরাস এসেছে. এবং সেই মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের শরীরের পৌছে যায়. তখনই প্রথম জানা যায় যে এই ভাইরাস সাপের মধ্যমে মানুষের শরীরের পৌঁছেছে.
coronavirus
অন্যদিকে চীনের সরকারি চিকিৎস dr.jong chang কাঁকড়া বিছে ও ইঁদুরের দাঁড়া এই ভাইরাস ছড়ানোর কথা জানিয়েছেন. এরপর চীনের বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক চিকিৎসার মাধ্যমে জানা গেছে যে এই ভাইরাস বাদুড় থেকে সাপ ও মানুষের শরীরে ছড়িয়ে আছে. চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মেডিকেল বায়োলজিতে বিজ্ঞানীদের চিকিৎসায় মতে বলা হয়েছে যে এই করোনাভাইরাস বাদুড় থেকে মানুষের শরীরের পৌঁছেছে.
ব্যাং এর সুপ বাহাদুরের সুপ এখানে খুব প্রচলিত না হলেও এটি উহান এর বিশেষ প্রচলিত খাবার. ওইখানকার ডক্টর জানিয়েছে যে এই ভাইরাস পশুর সঙ্গে যুক্ত. গবেষণা থেকে জানা গেছে যে কোন ভাইরাস আসলে একটি প্যাথোজেন. আর প্যাথোজেন হলো একটি ইনফেকশন এজেন্ট যেটি নানান রোগ সৃষ্টি করে সাধারণ ভাষায় আমরা যাকে বলে থাকি জীবানু. চীনের হুয়ান প্রদেশ থেকে ছড়ানো এই ভাইরাস চীনের প্রতিবেশী দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে ভিয়েতনাম ও পৌঁছে গেছে.
coronavirus
চীনে প্রায় 250 জন মানুষ এই ভাইরাসের প্রভাবে মারা গেছেন. এবং প্রায় 850 জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন. এই ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে সবথেকে বেশি বয়স ছিল 79 বছর. এবং সব থেকে কম বয়স ছিল 48 বছর. এখন ভারত থেকে সৌদি আরব পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে.
থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর তাইওয়ান জাপান দক্ষিণ কোরিয়া ইংল্যান্ড আমেরিকা এবং সৌদি আরবের ও করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে. ইংল্যান্ডের মেডিকেল এক্সপার্টদের মতে ওইখানে আগের থেকেই করোনা ভাইরাস ছিল. তবে চীনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মনে করছেন এই ভাইরাস আরো ছড়াবে, কিন্তু ভারতের কোন ভাইরাস এর প্রভাব কতখানি?
coronavirus
মুম্বাই আধিকারিকরা জানিয়েছে যে চীন থেকে আগত ভারতীয়দের পরীক্ষা করা হচ্ছে তাদের মধ্য কয়েকজনের সর্দি-কাশি থাকায় তৎকালীন তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে আধিকারিকদের মতে তাদের মধ্যে 70 ভাগি জ্বর ছাড়া ভাইরাসের অন্য কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না. যদিও সর্দি কাশি জ্বর গলা ব্যথা ক্লান্তি ভাব এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ বলে জানা গেছে.
ভারতের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে কোর নজরদারি করা হয়েছে. আর চীনের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট হোটেল এমনকি বাস ট্রেন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে. এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের কড়া পাহারা রাখা হয়েছে. যদিও সাংহাই ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল জানিয়েছে যে তারা এই ভাইরাসের ওষুধ খুব শিগগিরই বের করে ফেলবে. তবে এখনো পর্যন্ত এই মরন ভাইরাস নিরাময়ের জন্য সেরকম ভাবে কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি..