একটা যুগ ছিলো কুপবাতির যুগ। সন্ধ্যা হলেই প্রতি বাড়িতে জ্বলে উঠতো ল্যাম্প , হ্যারিকেন। আমাদের জেনারেশন ওই যুগের শেষ সাক্ষী সম্ভবত। যদিও আমি জম্মের পরে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত দেখেছি, তারপরো যখন বিদ্যুৎ চলে যেতো তখন হ্যারিকেন, ল্যাম্প জ্বলে উঠতো। আমারো সৌভাগ্য হয়েছে ওই যুগটি দেখার।
পুকুরে, নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাফালাফি, খেজুর গাছের নলে ফাঁদ পেতে পাখি ধরা, (সব সময় অবশ্য ছেড়ে দিতাম পাখিগুলো), সাইকেল নিয়ে দুনিয়া চষে বেড়ানো তারপর বাসায় প্রায়ই আম্মুর স্যান্ডেল, ঝাটার বাড়ি খাওয়া, মাঝে মাঝে প্রতিবেশী আংকেল দের নালিশ এরপর আব্বুর হাতের মাইর !!
ওইদিন গুলোতে ম্যাসেঞ্জার ছিলো না, মোবাইল ও ছিলো না। কিন্তু বন্ধুদের সাথে আড্ডা কি ছিলো না? বাড়ির সামনে এসে নানান সাংকেতিক সিগনালের মাধ্যমে ডাকা হতো বন্ধুদের। অবশ্য কিছুদিন পর পর সিগন্যাল পাল্টানো হতো কেননা আমাদের সিগন্যাল ক্র্যাক করে ফেলতো। বিকেল হলে মাঠে ক্রিকেট আর ওই সময় ছিলো অদ্ভুত সুন্দর কিছু খেলা। যেগুলোর অনেক ই নাম মনে নেই। (আপনাদের মনে থাকলে জানাবেন কমেন্টস এ)
এখন ফ্যামিলি রিইউনিয়ন যেটাকে আমরা বলি তখন ও এটা ছিলো। বিশেষ করে গ্রামের বাড়ি তে ! একটু বড়ো কোনো অকেশন মানেই সব রিলেটিভ একসাথে। রাত জেগে কিংবা বাইরে বসে ছোটরা আড্ডা দিতো। গানের আসর, ভুতের গল্প , ধাঁধা খেলা! কতো জটিল ও কঠিন বিষয় নিয়ে গবেষণা। সিনিওর রা তাদের মতো করে গল্প করতেন। আড্ডা দিতেন। সব থেকে মজার বিষয় ছিলো কাজিনরা সবাই ঢালাওভাবে একসাথে ঘুমাতাম। ফিসফিস করে গল্প করতাম আর মাঝে মাঝে ঝাড়ি খেতাম জোরে হেসে ওঠার শব্দে!
ভিডিও গেমের একটা যুগ ও পার করেছি। আমাদের সময়টা তে এই নিয়ে মাইর খায়নি, স্কুল পালায় নি এমন ছেলে হয় তো পাওয়া যাবে না। বাগেরহাটে একটা জায়গায় এখনো ভিডিও গেম আছে। কিছুদিন আগে গিয়ে যতক্ষন মন চাইলো খেললাম। বাসায় এসে বললাম আজ ভিডিও গেম খেলেছি যতক্ষন মন চাইলো এবার কিন্তু মারলো না বরং হাসাহাসি শুরু করলো!
Posted By: riyantanvir
Post ID: 6467
Posted on: 4 years 3 months ago
Authorized by: motu
3 Comments469 Views
pet3r_park3r
মনে পড়ে গেলো সেই দিনগুলো। -dream- আর হয়তো ফিরে পাবো না -sad-