The fiend untold part 2

পার্ট ২

আমি এখন যাকে নিয়ে লিখতে যাচ্ছি তাকে নিয়ে আগেও লিখেছি,,লেজেন্ড দের নিয়ে অনেক লিখলেও মনে হয় অপূর্ণ থেকে গেলো,,তাই আরেকটা পর্ব লিখছি।।শুরু করি,,

ফিন্ড যখন ভাইরাল হলো তখন সে মনে মনে অনেক খুশি হইলো,,কিন্তু তার মনে হলো তার নিক নেম ফিন্ড একটু ও ভাইরাল না।।যেমনটা ছোটো খোকা ভাইকে অনেক বুইড়া খোকা বলে,,ইয়ামাজাকি কে হাম্বাজাকি বলে।।তার ও ইচ্ছা হলো তার নামটা ভাইরাল হবে,,নাম দিয়ে দিলো হার্ট ব্রেক কিড।।সেই সাথে তার ইচ্ছা ও পূরণ হলো।।কেউ তাকে ডাকা শুরু করলো হাড় ভাঙা কিড,,কেউ বা দুধের কিড।।

এতেই সন্তুষ্ট ছিলো না,,তাকে যেন মানুষ অনেকদিন মনে রাখে তাই আস্তে আস্তে সাইটের অনেক মেয়েদের ম্যারি রিকুয়েষ্ট দিতে লাগলো।।বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর বিবাহিত মহিলাদের ও ম্যারি রিকুয়েষ্ট দিতে লাগলো।।সেখানে ও ব্যর্থ হলো।।সফল হওয়ার জন্য ক্লাস নাইন/টেনে পড়া বাচ্চা কিড নিজে জব করে মাসে ৩৫ হাজার বেতন পায় তেমন টা দাবি করলো।।

তারপর পচানি খেয়ে নিজের বুকে একটা থাবা দিয়ে বললো,,"কিড নেভার গিভ আপ।।রিমেমবার ইউ আর এ ভাইস ক্যাপ্টেন।"
তারপর আবার খেলায় মনোযোগ দিলো,,লাইমলাইটে আসার জন্য পুরানো অভ্যাস বেছে নিলো আবার।মিডনাইট ভসফে রং পোস্ট,লেট পোস্ট দিয়ে হোস্ট দের নজরে আসলো।।

এবার আসি ফিন্ডের কিছু সফলতা নিয়ে।।
এফডিপিএল এ তার টিম এফডি যখন টানা দুই ম্যাচ হারলো তখন ক্যাপ্টেন ভিভি সব দায়িত্ব হাড় ভাঙা কিডকে দেয়।।হাড় ভাঙা কিডের হাড় ভাঙা খাটুনি তে এফডি টানা ম্যাচ জিততে থাকে,,প্রতিবার ম্যাচ জেতার পর কিড সাউট দিতো তার লাইন আপের কারণে ম্যাচ জিতছে,,আমি ও তার সাথে একমত।।।

সে আরো একটা কৌশল অবলম্বন করে নিজে রান কম করতো।।যেন বাকি প্লেয়ার বেশি বল খেলে টপ স্কোরার হতে পারে।।এখনো টুর্নামেন্ট এ তাই ২০ রান ও করে নি এই কিড।।চিন্তা করুন কতটা মন ভালো হলে একজন এতোটা ত্যাগ করতে পারে।।


তারপর এফডি টিম কিছু ম্যাচ হারাতে ফিন্ড রাগে তার ফোন আছাড় মারে বিছানার উপর।।এটা নিয়ে সাউট ও দেই।।হাড়ভাংগা কিড ভালোই জানে বিছানায় ১০০ বার আছাড় মারলে ও ফোন ভাংবে না।।


মনীষী হতে হলে রাত-দিন চিন্তা করতে হয়।।তাই ফিন্ড যে মনীষী তা প্রমাণ করতে সাউটে দেই যে সে রাত-দিন ভসফে তার টিমকে কিভাবে জেতানো যাবে সেই চিন্তা করে।।

ফিন্ডের বাচ্চা/হাড় ভাংগা কিড যাই বলেন না কেন তাকে সে একদিন মিডনাইট ভসফে একটা ৫০+ করেছিলো।।ফিন্ডের খুশি দেখে কে,,তার ফ্রেন্ড ম্যাক্স এর ওভারে ২৩ নিছিলো।।কিন্তু ম্যাক্স তার ৫ বলে ২৪ নিয়ে শেষ হাসিটা হাসতে দিলো না।।


ফিন্ড এসব কেয়ার না করে ভাইরাল হওয়ার জন্য সাউটে হাম্বু ভাই,,সিনিয়র স্যারদের সাথে নিজের বন্ধুর মতো করে কথা বলে।।।হাম্বু ভাই এর সাথে inbox এ কন্টাক্ট করে তাকে রোজ জুতাইতে।।তাহলে সে ভাইরাল হতে পারবে।।তাই হাম্বু ভাই এখন হাড় ভাংগা কিড কে সারাদিন জুতানির উপর রাখে।।


পার্ট ৩ আসবে এই ঈদের আগেই।।জীবনে ব্যর্থ হলে কান্নাকাটি না করে কিড কে ফলো করুন।।