FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

একটি চাঁদের মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হাসির গল্প

একটি চাঁদের মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হাসির গল্প

*

ভালোবাসার মানুষকে হারানোর চেয়ে বিসর্জন দেয়া কত বড় বেদনাদায়ক, যন্ত্রণাদায়ক তা কেবল যে দিয়েছে বা দিতে হয়েছে সে ছাড়া কেউ বলতে পারবেনা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই ?

ভাবছেন কি আবোলতাবোল বলে ছেলেটা, হ্যাঁ হয়তো-বা আবোলতাবোল, তবে এটাই আমার জীবনের ইউটার্ন ছিলো যা আজকে এখানে এটি লেখার সুযোগ করে দিয়েছে, ভাবছেন কিভাবে তাইতো?

ক্লিয়ার করছি এখনি,সালটা ২০১৪ এর দিকে ভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে ডিপ্রেশনে দৌড়াদৌড়ি করছি, তারপর এদিকে সহপাঠী ভালোবাসার মানুষের বিয়ের চাপ, জীবন পুরাই রসহীন লেবুর মতো হয়ে যাচ্ছিল, তখন মোবাইল বলতে ছিলো আমার নিজের ইনকামের টাকার প্রথম কেনা তাও বাঁকিতে Symphony D56, যাতে ফেসবুক সাপোর্ট করতনা, আইডি ২০১১ তে খুলেও পরেছিল আইডি, পুলিশ বাবার বড় সন্তান হয়েও কখনো মুখ ফুটে চাইনি আমার ফোন লাগবে, কারণ মোবাইলের প্রতি কখনোই নেশা ছিলনা, সব ধরনের সিজনাল খেলা নিয়ে মেতে থাকতাম সারাবছর, তাই মোবাইল নিয়ে কখনো আগ্রহ ছিলনা, কেবলমাত্র কল আসা-যাওয়ার জন্য কেনা, হয়তোবা অনেকে ভাবছেন ২০১৪ সালে ফেসবুক চালানোর মোবাইল তার কাছে নাই, কতটা বেকডেটেড ছিলো ছেলেটা, হয়তোবা বেকডেটেড ছিলাম, তবে এতে আফসোস নেই কেননা তখন ফেসবুক যদি চালাতে পারতাম তাহলে হয়তো-বা এতো সুন্দর একটা পরিবারের কখনোই সদস্য হওয়া হতনা, কেননা আমাদের এলাকা কেন সারা জেলায় কেউ এসব ইউজ করতনা, এখানে এসে পরে পরিচয় হলো #Niladrita# নামের মৌসুমি আপুর সাথে তাও বছর দুয়েক পরে, সেদিকে আমার এই মোবাইল লাকি, যাইহোক পয়েন্টে আসি, একদিকে ক্যারিয়ার + প্রেমের জ্বালা, তাই কম টাকায় এম্বি কিনে বিরহের গান নামাতাম ফিউশনবিডি থেকে, সেখান থেকে ভুলক্রমে একদিন বিডিফোরামে ঢুকে গেলাম কি মনে করে Chaderhashi নাম দিয়ে লগইন করে ফেললাম, অজানা জগত পুরোদমে, অন্ধকারে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে চলার পর ছুটে চলার, শাউট দেয়ার জন্য প্লাসেস তাও আমি অনলাইন টাইম দিয়ে আর্ন করি, কিভাবে প্লাসেস কামাতে হয় তা জানতাম না, শাউট দেয়ার মতো প্লাসেস কামিয়ে ফুলটাইম এক্টিভ থাকি শাউটবক্সে, অন্যরা কুইজ খেলো জিসি নিতো, সেগুলোত তখন আমার জন্য রূপকথার রাজকন্যার মতো ছিলো, না ছিলো মোবাইল না ছিলো ব্রেন, ইনবক্সে কুতকুত খেলতাম, এই কুতকুত খেলতে গিয়ে পরিচয় হয় স্পামার অফ দা ওয়ার্ল্ড #Stranger# রূপ ধারণকারী রিয়াজের সাথে, সে আবার আমার বাড়ীর পাশের, মানে মৌলভীবাজার এর, সেখান থেকে তার সাথে ভালো একটা সম্পর্ক হয়, তারপর সে বলে এখানকার কথা, জয়েনিং ডেটটা আমার জীবনের জন্য অবিস্মরনীয়, ২৩শে সেপ্টেম্বর আমার ভালোবাসার মানুষের জন্মদিন ছিলো এবং সেদিনই আমি তাকে চিরবিদায় দিয়েছিলাম শর্টকাট সেলিব্রেশনের মাধ্যমে, বুকভরা কষ্ট নিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় এসে রিয়াজের বলা মতো জয়েন করি সেম নাম দিয়ে,

কাকতালীয়ভাবে সেদিন আবার রিয়াজের জন্মদিনও ছিলো, জয়েন করি কিছু সময় দিয়ে চলে যাই আবার বিডিএফে, তারপর একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় বিডিএফ, আসাযাওয়া বেড়ে যায় এখানে সবদিকে কমবেশি টপ অপশনে থাকতাম, শুধুমাত্র ছিলনা জিসি আর কুইজ সেই মোবাইলের জন্য, তারপরই পরিচয় হয় আমার এখানকার সবচেয়ে বড় পাওয়া বন্ধু #Mizan# এর সাথে, তার সাথে প্রায়শই কথা হতো, এমনকি সে আমার জিসিগুলো নিয়ে দিতো, তারপর #Cyclops# মুখোশধারী জুনেদ, বেস্ট স্টাফ অফ দা ওয়ার্ল্ড Motu , ময়মনসিংহের বন্ধু নাইম, শরীফ ভাই, হিমু, সাব্বির, ইখতিয়ার, জাতীয় হাম্বা মুন্না, দা গ্রেট অপজিশন লিডার বন্ধু মুশফিক, স্নেহের কুশল, তারপর যার তরে আজকের লেখা আমাদের প্রিয় বন্ধু মিস্টার টুইস্ট সহ আরো অনেকেই প্রমুখ। আস্তেআস্তে সবার সাথে ভালো একটা পরিচয় হয়, শুধু ছেলেদের কথা বললে হবে মেয়েদের কথাওত কিছু বলতে হবে নয়তো মামলা খেতে পারি নারী নির্যাতনের, তাদের মাঝে Vivi, Upoma_Madam, স্নেহের সিলেটি বইন ফারিয়া, -fd- এর বিখ্যাত রাধুনি ছোটবোন Julie আর সবচেয়ে ভালো বন্ধুত্ব ছিলো বুশরা বিনতে জহিরের সাথে, ভালোই সময় কাটছিলো, আস্তে আস্তে ভালোই এক্টিভ হই ২০১৫ এর মাঝামাঝি একটা এন্ড্রয়েড কিনি, সেসময় কমবেশি ভালোই কুইজ খেলি জিসি নেই, তখন ফেসবুক চালনো সত্ত্বেও, ভিসিএফ ও নেই টুকটাক, ভালোই কাটছিল সময়, এর মাঝে আরেকটা সাইটের স্টাফ হয়ে যাই আবার সেম নামে, তারপর আসে এখানকার স্টাফ ইলেকশন, স্টাফ হতে পারিনি এতো এক্টিভিটি থাকা সত্ত্বেও, কিন্তু জুনিয়র অনেকে হয়েছে, মন বড় বিষণ্ণ কেন হলামনা, তারপর কারণ আসলো অন্য সাইটের স্টাফ, মনটাকে কিছুটা সান্ত্বনা দিলাম, আবার যার নাম না নিলে আমার মতে এটা লেখা অর্থহীন সে হলো সাব্বির, একটু কিছু হতেই সে টুশ করে বেন পড়িয়ে দিতো, শুধু যে আমি না, অনেকেই এর ভুক্তভোগী,

যাইহোক তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ কেননা তার একটা বেন আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে, সালটা ২০১৬ এর শুরুর দিকে জানুয়ারীর দিকে, কি নিয়ে ঝামেলা হইছিলো শাউট বক্সে, তারপর সে ১৫ দিনের বেন দিছিলো মনে আছে আর এই ১৫ দিন আমার লাইফে ইউটার্ন করছিলো, এর আগে টিউশনিতে গিয়েও মোবাইল টিপতাম যার জন্য টিউশনি গেছে ভালো ভালো, তারপর পরীক্ষায় ডাব্বা মারছি কয়েকটায়, তারপর চাকরি থাকা সত্ত্বেও করিনি, সো ১৫ দিনের উছিলায় ৪ বছরের গেপ পড়ে গেলো, নিজের পড়ালেখা, বিজনেস, চাকরি, টিউশনি সব মিলিয়ে ভালোই যাচ্ছিলো তার মাঝে শনি হয়ে দাঁড়ালো কোভিড - ১৯ যার জন্য পুরোপুরিভাবে ঘরবন্দী তারপর আমার বংশগত শ্বাসকষ্ট সমস্যা, তারপর ওয়াই-ফাই আনবো আনবো করে আনা হয়না কারণ আমাদের সুনামগঞ্জ এ যে বা যারা সার্ভিস দেয় বিখ্যাত বাজে, তারপর বড়ভাই একজন মার্চে নতুন বিজনেস শুরু করলো, উনার মারফতে নিয়ে আসলাম বাসায়, শুরু হয়ে গেলো তুমুলভাবে গুঁতাগুঁতি, আপনি আবার অন্যকিছু মনে কইরেননা, মোবাইল আর কম্পিউটারের কথা বলছি আমি, পাসওয়ার্ড ও ভুলে গেছিলাম পরে মনে হলো একটা খাতায় লেখা আছে, সেখান থেকে কালেক্ট করে আজও যাত্রা চলছে এই সংক্ষিপ্ত সময় এমন কোন আকাম নাই যে আমি করিনাই, এজন্য আমি একপ্রকার বিখ্যাত, এজন্য কমবেশি সকল রকমের বেন পড়েছি এই ছোট্টো সময়ে, কেবলমাত্র মেয়েলি ইস্যু ছাড়া, কেননা আমার গুরু বলেছেন,
" শিষ্য যদি তুমি থাকো শক্ত, রূপসী বালিকারা এমনিতেই হবে আসক্ত "
কুইজ ফ্যান হয়ে চলছে আজও, অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছি, তবে একটা প্রশ্নের উত্তর পাইনা আজও বিবাহিতরা কিভাবে অনলাইনে এতো সময় দেয়, যাইহোক, নতুনভাবে চলতে চাই এভাবে আজীবন একসাথে,

বন্ধু টুইস্ট মানে ফাহিম এর কথা বলতে গেলে, এখানে না আসলেও ফেসবুকে কথা হতো প্রায়, খোঁজ-খবর নিতো বলতো যাসনা কেন এফডিতে বলতাম সময় নাইরে ভাই, পরে তার বিয়ের সুসংবাদ শুনলাম, লজ্জাও দিলাম শুভকামনা ও দিলাম, কিন্তু জানতামনা এটাই হবে শেষ শুভকামনা আমার তরফ থেকে, চলে গেছে ঐ আকাশপানে যেখানে আমরা তাকাতে পারি কিন্তু দেখতে পারিনা বন্ধু আমার কোথায় হারিয়ে গেলো, দুঃখ লাগে তার মেয়েটার জন্য বেশি, জন্ম থেকে এতিম হয়ে গেলো, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি আল্লাহ যেন তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য + দীর্ঘায়ু দান করে এবং তাদের পরিবারকে সুন্দরভাবে চলার তাওফিক দান করে আর বন্ধুর কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাগিচা বানাইয়া দেন। আমিন,

যাইহোক বহুবছর পর এতকিছু একসাথে লিখলাম কিভাবে লিখেছি জানিনা, এতো ভাব ভালোবাসা ছিলো মনে তা কল্পনাতীত, তাও এই উছিলায় সেই অভ্যাস ফিরে আসলো অবশেষে, সবশেষে এটাই চাইবো ভালোবাসার প্লাটফর্ম যাতে টিকে থাকে যুগ-যুগান্তর,এভাবে যাতে সবে মিলেমিশে থাকতে পারি সেই করি কামনা। এক ফাহিমের উছিলায় এটা লিখলাম, আরেকজন মান #Fahim# ভাইকে নিয়ে লিখব আরেকদিন, ভাইয়া এভাবে আজীবন আমাদের আগলে রাখবেন সেই করি কামনা সবসময় চিরদিন।

আজ আর নয়, অনেক হলো আজাইরা প্যাঁচাল, আর ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ফুলিয়ে দিবনা যে আপনি কষ্ট করে এতটা পড়েছেন, জাস্ট এতটুকু বলবো ভালোবাসা নিরন্তর। আর লাইক কমেন্ট শেয়ার দিতে ভুলবেননা কিন্তু।
সকলে আমার জন্য + আমার পরিবারের জন্য + বউ বাচ্চাকাচ্চার জন্য দোয়া করবেন যাতে সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে চলতে পারি সকলের ভালোবাসা নিয়ে,
সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ

*




11 Comments 618 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024