FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করার সহজ পদ্ধতি -love-

রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করার সহজ পদ্ধতি -love-

*

রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করার সহজ পদ্ধতি :

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
‘‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে ধাবমান হও; যার প্রশস্ততা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ন্যায়। যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকি তথা আল্লাহ ভিরুদের জন্য। যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে এবং *যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে* আর মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। বস্তুত আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকেই ভালবাসেন।
(সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৩-১৩৪)

আল্লাহ তাআলা আল-কোরআনের অনেক জায়গায় প্রিয়নবীকে ক্ষমার ব্যাপারে নসিহত পেশ করেছেন-আল্লাহ বলেন, ‘আপনি ক্ষমা করুন, সৎকাজের নির্দেশ দিন এবং অজ্ঞদের এড়িয়ে চলুন। (সুরা আরাফ : আয়াত ১৯৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’
(সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৫৯)

মানুষের প্রতি ক্ষমা ও দয়ায় রয়েছে আল্লাহর ক্ষমা। ক্ষমা ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা যদি ওদেরকে ক্ষমা (মার্জনা) কর; ওদের দোষ ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং ক্ষমা কর তবে জেনে রেখ, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
(সুরা তাগাবুন : আয়াত ১৪)

রাসুল (সা:) এর উপদেশ হলো রাগের মুহূর্তে নিজেকে সংবরণ করে ক্ষমা করা।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি বীর পুরুষ নয়; যে অন্যকে ধরাশায়ী করে দেয়। বরং রাগের সময় যে ব্যক্তি নিজের রাগ সংবরণকারী, সেই ব্যক্তিই প্রকৃত বীর (পুরুষ)।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়:

১. অন্যের ভুল-ভ্রান্তিকে মার্জনার দৃষ্টিতে দেখা:

ইরশাদ হয়েছে,
"যারা অন্যায় ও পাপকর্ম থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে, তারা যখন ক্রোধান্বিত হয় তখন আত্মসংবরণ (তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়) করে।‌‍ (সূরা শুরা, আয়াত নং ৩৭)

২. ‘আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাযিম’ (আমি অভিশপ্ত শয়তানের হাত থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি) এ জিকিরটি পাঠ করা।
নি:সন্দেহে অভিশপ্ত শয়তানই মানুষের অন্তরে ক্রোধের আগুন প্রজ্বলিত করে। কাজেই ক্রোধের আগুন থেকে বাচার অন্যতম কার্যকর পন্থা হচ্ছে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা; যাতে শয়তানের প্ররোচনা হতে নিরাপদ থাকা যায়।

৩. ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওতা ইল্লা বিল্লাহে আল আলীউল আজীম’ এ জিকির পাঠ করা।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, লা হাওলা ওয়ালা কুউওতা ইল্লা বিল্লাহে আল আলীউল আজীম’ এ জিকির পাঠের মাধ্যমে ক্রোধ নির্বাপিত হয়।

৫- অধিক দরুদ শরীফ পাঠ করা।
মহানবী (সা.) ও তার আহলে বাইতের (আ.) দরুদ শরীফ পাঠ মানুষের আত্মাকে প্রশান্ত এবং ক্রোধ নিবারণ করে।

৪. রাগ নিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো, অজু করে নেওয়া।
রাসুল (সা.) বলেছেন, রাগ হচ্ছে শয়তানি প্রভাবের ফল। শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আগুন পানি দিয়ে নেভানো যায়। অতএব তোমাদের কারো রাগ হলে সে যেন অজু করে নেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)

৫. প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, ‘যদি দাঁড়ানো অবস্থায় কেউ রাগান্বিত হয় তবে সে যেন বসে যায়। এতেও যদি রাগ না কমে তবে সে যেন শুয়ে পড়ে।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে রাগ বা ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করার তাওফিক দান করুন।
আমিন


*




4 Comments 559 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024