FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

রমজানে করণীয় ২০ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ - শেষ পর্ব

রমজানে করণীয় ২০ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ - শেষ পর্ব

*

৭) খারাপ কাজ না করা : মূলত এই পার্ট টায় এসে আমাদের ছলা কলা শুরু হয়।

খারাপ কাজের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুতর হলো মিথ্যা কথা এই মাসে।

মিথ্যা কোন ভাবেই আমাদের বলা যাবে না, মিথ্যা বললে রমজানের সব কিছুই আল্লাহ বৃথা করে দিবেন
আমরা অনেকে ফান করে মিথ্যা বলি এটা একেবারেই অনুচিত কাজ।

সুতরাং মিথ্যা বলা সম্পূর্ণ ভাবে নিশিদ্ধ




৮) ঝগড়া না করা : রোজার মাসে যেখানে ঝগড়া কম করতে বলা হয়েছে সেখানে আমরা আরো বেশি ঝগড়া করি।


এমনিতেই পেটে থাকে না খাবার তাই আমাদের মাথা থাকে আরো গরম। বাট এটা খুব ই বাজে জিনিস।

কেউ যদি আপনার সাথে ঝগড়া করতেও আসে বলবেন তুমি বলে যাও আমি শুনে যাই।

বলতে বলতে নিজেই বিরক্ত হয়ে চলে যাবে।
ঝগড়া সব ফ্যাসাদের মূল।

আল্লাহ র কাছে অকাতারে দোয়া করতে হবে যাতে আমরা এই ফেতনা থেকে বাচতে পারি





৯) রোজাদারদের ইফতার করানো : এটা রমজানের এক বিশেষ আমল।

আল্লাহ তায়ালা অঢেল সোয়াবের ব্যাবস্থা করছেন কোন রোজাদার কে ইফতার করানোর ব্যাপারে।

এর ফজিলত সরূপ নিজের রোজার সোয়াব ত পাচ্ছেন ই সাথে যাকে ইফতার করালেই সেই সুবাধে আরো অধিক সোয়াব পাবেন
আমি পার্সোনাল একটা ঘটনা শেয়ার করি।

" প্রায় ৫-৬ বছর আগের ঘটনা, আমি আসে পাসের সবাইকেই ইফতার দেয়ার চেস্টা করতাম, কিন্ত কিছু ফেমেলি ইফতার নিতো না, কারণ তারা ভাবতো আমি তাদের রোজার সোয়াব নিয়ে নিব,তারা কোন সোয়াব পাবে না।"


এখনো এই একি মূর্খ্যতা বিদ্যমান আছে। তাদের বুঝানোর দায়িত্ব আপনাদের যে আপনার রোজা আপনার কাছেই এতে আমার কোন ভাগ নেই।


আল্লাহ আমাদের সকলে বুঝার তৌফিক দান করুক।





১০) কুরআন পড়া : এর ব্যাপারে আলাদা ভাবে কিছু বলার অবকাশ থাকে না।

আল্লাহ তায়ালার আমাদের উপর সব চেয়ে বড় নিয়ামত আল-কুরআন।

তবে কুরআন বুঝে অর্থ সহ ধীরে ধীরে পড়তে হবে।


রমজানে এটা মিস করা মানে পাগলের প্রলাপ। তাই সকলে অবশ্যই কুরআন পড়বেন। কম হোক বেশি হোক পড়বেন





১১) দান - সাদকা করা : এই রমজান মাসে দান সাদকার মূল্য অবিশ্বাস্য হার এ বেড়ে যায়।


আল্লাহ খুবই খুশি হন এই দান সাদকায়।

এক হাদিসে মা আয়েশা (রা) বলেন, রাসূল (সা) এই মাসে সব চেয়ে বেশি দান করতেন



তাই আমাদের ও দান করতে হবে। এতে আল্লাহ খুশি হবেন সাথে মনের মধ্যেও প্রশান্তি আসবে





১২) মেসোয়াক করা : রমজানে প্রতি ওয়াক্তে ওয়াক্তে মেসোয়াক করতে হবে, এমন কি বিকেলে নামাযের পর মেসোয়াক করে মুখ পরিষ্কার এবং সুন্দর রাখতে হবে।

রাসূল (সা) এর চমৎকার এই সুন্নতটি পালন করা অতি জরুরি।
রোজা রাখার ফলে মুখ বন্ধ থাকে এবং না খাওয়ার ফলে মুখে বাজে গন্ধ হয়, সেটি দূর করতে অবশ্যই কোন গাছের ডাল দিয়ে মেসোয়াক করে নিতে হবে




১৩) উমরাহ করা : যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই উমরাহ করবে কারন এই উমরাহ এর দাম এত্ত বেশি তা কল্পনাতীত।


রাসূল (সা) বলেন এই মাসে যারা ওমরাহ করবে তারা যেন আমার সাথে হজ্জ পালনের বিনময় পেল।



চিন্তা করা যায়, রাসূল (সা) জিবদ্দশায় মাত্র কয়েকটি হজ্জ এবং ওমরাহ করেছেন, সেই বরকতময় হজ্জ এর সোয়াব আপনিও পেতে পারেন যদি এই রমজানে ওমরাহ্ করেন।





১৪) শেষ দশ দিন বেশি ইবাদত করা : হাদিসে বলা হইসে এই দশ দিন সব চেয়ে বেশি ইবাদাত করতে।

কিন্ত রিয়ালিটি হয়ে গেছে উলটা। এই লাস্ট ১০ দিন আমরা কম ইবাদত করি + অন্য কাজে মনযোগ দি।

এই দশ দিনে ধুম পড়ে ঈদের জামা কিনার। সবাই ব্যাস্ত হয়ে পড়ে এই কাজে। অথচ সাহাবীগন বিছানা উঠাই রাখতেন যাতে করে ঘুমিয়ে সময় নস্ট না হয়।


এই শেষ এর প্রতিটা সময় মহা মূল্যবান। আল্লাহ তায়ালা এই ১০ দিনের কোন এক বিজোড় রাতে শবে কদর রেখেছেন। এর কোন ফিক্সড ডেট নেই ।

তাই সকল সাহাবীগন লাস্ট ১০ দিন বেশি ইবাদত করতেন তো করতেন ই সাথে বিজোড় রাত গুলো কখনোই ঘুমের কথা মাথায় আনতেন না।


তাই এই দশ দিন আমাদের সবার অন্য কাজ গুলো বন্ধ রেখে আল্লাহর ইবাদাত করতে হবে





১৫) ইতেকাফ করা : এটা আমাদের সমাজ থেকে প্রায় উঠেই গেছে। অথচ ইতেকাফ করা আবশ্যক একটা ব্যাপারের মধ্যে চলে যায়।
বাসা ছেড়ে, দুনিয়াবি সব কাজ ছেড়ে মসজিদে গিয়ে দিন পার করা এটা বড় ফজিলতের জিনিস।

অথচ আমাদের ভিতর ৯৯% মানুষ এই ইতেকাফকে ধরা ছোয়ার বাইরে রাখি।

ইতেকাফ করার নিয়ত করেন সকলে যাতে আল্লাহ আমাদের সেই সুযোগ ইচ্ছা আমাদের মনে তৈরী করে দেন




১৭) জাহান্নাম থেকে বাচার দোয়া করা : মূলত আল্লাহর কাছে মনে মনে দোয়া করতে থাকা সব সময়। জাহান্নাম থেকে বাচার জন্য প্রতিনিয়ত কিছু দোয়া জপতে থাকা।




১৮) খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা : প্রতিটা মানুষ এর কিছু খারাপ অভ্যাস থাকে যা তাকে আল্লাহ র কাছ থেকে দূরে নিয়ে যায়।

যার যার মনে প্রশ্ন করে সেই অভ্যাস চিহ্নিত করে সেটা থেকে ফিরে আসতে হবে।


১৯) সাধারণ আমল : অর্থাৎ জিকির যেগুলো আল্লাহ ফিক্সড করে দিসেন সেগুলো দিয়ে জিকির করা তাসবিহ করা।

প্রতিদিন যে আমল গুলো সবাই করি তা সচল রাখা।


২০) ফিতরা দেয়া : ফিতরা অবশ্যই দিতে হবে বাধ্যতামূলক। আপনার যত বেশি সম্পত্তি আল্লাহ দিসেন তত বেশি ফিতরা দিবেন
ফিতরা দেয়ার শেষ সময় ঈদের নামায পড়ার আগে।

ঈদের নামাযের পর দেয়া এটা একটা ভূল কাজ



আল্লাহ আমাদের সকলকে এই কাজ গুলো করার তৌফিক দান করুক।

এ তো সামান্য কিছু কাজ, আরো প্রচুর পরিমানে কাজ রয়েছে যা এই রমজানে করণীয়।

আপনারা আরো জানার জন্য কিছু মানুষ এর ভিডিও ইউটুব ফেসবুকে দেখতে পারেন


বর্তমানে খুব সুন্দর শিক্ষণীয় এবং ভিডিও দিচ্ছেন " আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ ,, শাইখ আহমাদুল্লাহ সহ আরো অনেকে "

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে রমজানের গুরুত্ব বুঝে পালন করার তৌফিক দান করুক।

সবাই ভালো থাকবেন


মূল আলোচক : শাইখ আহমাদুল্লাহ

*




6 Comments 591 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024