তাসবীর দানাঃ পর্ব- ৪ তাকওয়াঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ সব দেখেন
তাসবীর দানাঃ পর্ব- ৪ তাকওয়াঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ সব দেখেন
নিস্তব্ধ মদিনার অলিগলি! সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন! কিন্তু একজন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ গলি থেকে ও গলি। কারন মজলুমের আর্তনাদ, অভাবীদের রোনাজারি খুব স্পষ্ট শোনা যায় এই রাতের নিস্তব্ধতায়। আর তাকে তো শুনতেই হবে! জানতেই হবে কারন অর্ধপৃথিবীর সেবক যে তিনি। হ্যাঁ ! ঠিকই শুনেছেন সেবক! প্রকৃত মুসলিম কখনো শাসক হয় না! তারা সেবক হয়। তাদের কাছে রাজ্য চালানো এক জিম্মাদারি এক আমানত যা রক্ষা করতে হয় অতি যত্ন সহকারে কারন সব কিছুর জবাবদিহিতা করতে হয় দিনশেষে আল্লাহর কাছে! এই যে দিনশেষে আল্লাহর ভয়! নিজের সব কাজের জন্য আল্লাহর কাছে দায়ী থাকা এইটাই তাকওয়া! তাকওয়া কি? তাকওয়া আরবি শব্দ যার অর্থঃ আল্লাহভীতি সহজ বাংলায় আল্লাহর সকল আদেশ এবং নিষেধ পরিপূর্ণ ভাবে মেনে চলাই তাকওয়া। আমার কৃত সকল কাজ আল্লাহ দেখছেন এবং এই সব কিছুর হিসাব তার কাছে দিতে হবে এই যে অনুভুতি এইটাই তাকওয়া!
অর্ধ জাহানের শাসক ঘুরছেন তখনো, ফজরের সময় হয়ে এলো বলে, ঠিক তখনি এক কুঠির দেখলেন আলো জ্বলছে! ধিক করে উঠল অন্তর হায় হায়! আবার কোন অভাবির প্রয়োজনে পাশে যেতে ব্যার্থ হলাম বুঝি! এগিয়ে যান তিনি কুঠুরির দিকে ভিতরে দুইজনের কথাপোকথন শোনা যায় মা তার মেয়েকে বলছে দুধে পানি মিশানোর জন্য তাহলে তাদের লাভ বেশী হবে। এদিকে মেয়ে অনড় সে বলল মা আপনি শোনেন নি আমিরুল মুমিনিন বলেছেন খাদ্যে ভেজাল না মিশাতে! মা বললেন ওরে বোকা মেয়ে! এখন প্রায় ফজরের সময়! তোমার আমিরুল মুমিনিন কোথা থেকে দেখবেন! খলিফার চোয়াল শক্ত হয়ে উঠে এই অসৎ মহিলাকে শাস্তি দিবেন! কিন্তু মেয়ের উত্তর এ যেন শান্ত হয়ে গেল সব! মদিনার গলির নিস্তব্ধতা যেনে বেড়ে গিয়েছিল হাজার গুনে কোন এক বেহেশতি আবেশে। কি বলেছিল সেই মেয়ে? বলেছিল "মা! আল্লাহ তো দেখছেন "। আল্লাহ তো অবশ্যই দেখছেন......।
বলতে পারবেন কে ছিলেন সেই শাসক?
Posted By: mr_right
Post ID: 6878
Posted on: 1 year 2 months ago
Authorized by: Mostakim
6 Comments248 Views
desertmen
ওহ আচ্ছা♥️
1 year 3 days ago
mr_right
হ্যা উত্তর ঠিক ই আছে। আসলে এই ঘটনা দ্বারা খলিফা হযরত ওমর রাঃ এবং সেই বিখ্যাত মহিলার তাকওয়ার দিক টা হাইলাইট করতে চেয়েছি বিধায় সামনের ঘটনা আর তুলে ধরি নি
1 year 3 days ago
desertmen
হযরত উমর ফারুক রা. ছাড়া আর কে হতে পারেন? তবে এখানে শেষ হয়নি।তারপর তিনি তার ছেলের সাথে ঐ মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন।পৃথিবীর ইতিহাসে উমর রা. এর মত শাসক আর কখনও আসেনি। ভবিষ্যৎতেও হয়ত আসবে না। যে কেউ তার জীবনি দেখলে অবাক হতে বাধ্য। আল্লাহ তাকে কত তাকওয়া দান করেছিলেন!! এজন্যেই হয়ত নবী সা. বলেছিলেন- আমার পর যদি কেউ নবী হত তাহলে সেটা হত উমর। আলহামদুলিল্লাহ!!