অনেকেই অসাবধানতাবশত গরুর হাড়, মুরগীর হাড়-উচ্ছিষ্ট, মাছের কাটা জানালার পাশে ফেলেন, এটা আমাদের কাছে কোন সিরিয়াস ইস্যু কখনোই ছিল না। কিন্তু আমাদের এলাকার ছোট ভাই আনোয়ারের বড় আপু নিশা আপুর জন্য এটাই কাল হয়ে দাড়িয়েছিল।
২০১২ সালের ঘটনা। কুরবানীর ঈদের পর গরুর গোশত খেয়ে ঘুমাতে যাবার আগে কুকুরকে খেতে দেয়ার জন্য জানালা দিয়ে কিছু হাড় ফেলে দিলেন নিশা আপু। তারপর যথারীতি ঘুমাতে গেলেন। ঘুমাতে যাবার আগে একবার বোতল থেকে পানি মুখে নিয়ে কুলকুচা করলেন তিনি। পানিটা জানালার গ্রিলের ফাক দিয়ে চলে গেল নিচে।
ঘটনার পরদিন ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে নিশা আপু আর কাউকে চিনতে পারছিলেন না। নিজের মাকে কয়েক দফা চড় মারলেন প্রথমে, এরপর চলে গেলেন ছোট ভাই আনোয়ারের রুমে। কোন কারন ছাড়াই হামলে পড়লেন ওর পড়ার টেবিলের ওপরে, সব ফেলে দিয়ে এলোমেলো করে ফেললেন।
এরপর ডাইনিং টেবিলের ওপর বসে গলা ছেড়ে গান ধরলেন, বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম দেখা পাইলাম না...
ভয়ে অস্থির হয়ে নিশা আপুর মা ফোন করলেন আংকেলকে। আংকেল ইমারজেন্সি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় ফেরার পর নিশা আপু ঝাপিয়ে পড়লেন তার বাবার ওপরেও। খামচি-কামড়-কিল-চড়-লাথি দিয়ে অমানুষিক হিংস্রতা আর শক্তি দিয়ে নিজের শক্তসমর্থ মধ্যবয়সী বাবাকেও একেবারে ধরাশায়ী করে ফেললেন নিশা আপু।
এরপর নিশা আপুর বাবা পাশের ফ্ল্যাটের দুজন ও আনোয়ারের হেল্প নিয়ে তাকে বেধে রাখলেন। চারজন পুরুষ মিলেও একজন মেয়ের সাথে পেরে উঠছিল না দেখে সবাই সন্দেহ করলো, এই মেয়েকে জ্বিনে আছর করেছে।
বাসার সবাই চিন্তা করছিল কি করা যায়। এমন করেই এল সন্ধ্যা।
মাগরিবের আযানের একটু আগে দিয়ে হঠাত করে বাধন খুলে এলোমেলো চুলে ঠিক ক্যাঙ্গারুর মত লাফাতে লাফাতে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এলেন নিশা আপু।
ভয়ে সবার দম বন্ধ হয়ে এল, আর নিশা আপু বেরিয়ে গেল দরজা দিয়ে, কেউ কিছু করতে পারলো না।
এরপর শুরু হল কবিরাজ খোজা।
কবিরাজ খুজে তদবীর শুরু করা হল। তদবীরে জানা গেল, নিশা আপু যখন জানালার পাশে কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য হাড় ছুড়ে দিলেন, তখন সেই হাড়টা খেতে বসেছিল এক জিন। পরে কুলি করে যখন তিনি পানি ফেলেন, পানিটা জিনের খাবারের মধ্যে পড়ে আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জ্বিন তাকে আছর করে।
এর ফলে নিশা আপুর মানসিক বিকৃতি ঘটে।
নিশা আপুকে প্রায় ২ সপ্তাহ পর কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করে আনা হয়। তিনি তখন সম্পুর্ন উন্মাদ অবস্থায় ছিলেন। প্রায় ১ বছর চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন।
এই ঘটনা শেয়ার দেয়ার কারন, অনেকেই জানালা দিয়ে পাশে বা নিচে হাড় ফেলেন, এই হাড় জ্বিনেরা খায়। তখন কেউ ওদের বিরক্ত করলে ওরা আছর করে।
ঈদের মৌসুমে জানালা থেকে হাড় ফেলা থেকে সতর্ক হোন।
Collected from Muhammad Sajal vai's Post
Posted By: black_spid3r
Post ID: 6895
Posted on: 2 years 6 days ago
Authorized by: holud_himu
1 Comments599 Views
rawha
হায় আল্লাহ!! -ohno1- আমি জ্বীন কে ভয় পাই না!!! আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমার সাথে জ্বীন আছে!!! -ohno1-