হেই জনগনস অফ ফডি, মুভি গসিপের প্রথম এপিসোডে স্বাগতম! আজ কথা বলবো এই বছরের কিংবা বলা যায় হলিউড ইন্ডাস্ট্রির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা মুভি নিয়ে যা আগামি ২১ জুলাই রিলিজ পাবে। ইতিমধ্যে প্রিমিয়াম হয়ে গেছে, যা হাতে গোনা মানুষ ছাড়া ইনভাইট পায় না। আমরা দেখি নি কেউ তো আসুন এটা নিয়ে দরকারি কিছু কথা বলা এবং জেনে নেয়া যাক।
Movie name: Oppenheimer Director : Christopher Nolan Genre : Biographical Cinematography : Hoyte van Hoytema Screenplay: Christopher Nolan Related Book: American Prometheus : The Triumph and tragedy of J. Robert Oppenheimer ( April 5, 2005)
ইনফরমেশন ছাড়া গসিপ জমে না তাই ভরপুর ইনফরমেশন গেদার করা, যাই হোক মুভির বেসিক কন্সেপ্ট আমার মনে হয় সবাই কমবেশি জানেন যে বিজ্ঞানী রবার্ট তার যুগান্তকারী আবিস্কার দিয়ে কিভাবে বদলে দেয় পুরো পৃথিবীর চিত্র। তার জীবনের উত্তান, কার্যকলাপ, পার্সোনাল লাইফ, পতন সব এই মুভিতে দেখানো হবে।
কিভাবে একটা আবিষ্কার বদলে দেয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ট্যাকটিক্স, যুদ্ধ, জীবন-মরণ তা দেখানো হয়েছে। কিন্ত এটা কি এতটুকেই সীমাবদ্ধ? কখনোই না, গত ৮০ বছরে কেউ এত বড় একজনকে নিয়ে মুভি বানানোর সাহস কিংবা রিসোর্স কিংবা আশা পায় নি, তবে এত বছর পরে যিনি এটা হাতে নিলেন তিনি এককথায় অনবদ্য, তার জুড়ি নেই ইন্ড্রাস্ট্রিতে।
কিছু ফ্যাক্ট যা জেনে প্রতিটা মানুষ অবাক হতে বাধ্য, এই মুভি এত বেশি হাই রেজুলেশন IMAX ক্যামেরা দিয়ে শুট করা যা ইহজগৎ এ কেউ আজ পর্যন্ত করে নি, ইভেন শুধু মাত্র এই মুভির জন্য ৭০ মিলিমিটারের IMAX ক্যামেরা তৈরী করা হইছে যা আগে ছিলো না।
মুভিতে সাদা কালো স্ক্রিনের বেশ কিছুক্ষনের শট আছে, ডিরেক্টর চান নি তা কালার ক্যামেরা তে ধারণ করে তাতে সাদা কালো ইফেক্ট বসাতে, তার কথা মত এটা আনরিয়ালিস্টিক, তাই তিনি পুরো ক্যামেরা টাই সাদা কালো তে তৈরী করাইছেন যা এত বড় যে আগে কোনদিন এর অস্তিত্ব ছিলো না।
IMAX স্ক্রিন বাংলাদেশে নাই ই 😅, এটার খরচ বহণ করতে পারবে না এখানকার জায়ান্ট গুলা, একটু ধারণা দি এটা কত বড় স্ক্রিন হয়। আমরা যেমন চোখে দেখি আমরা কখনোই চতুর্ভুজ আকারে দেখতে পাই না, আমরা প্রান্ত দেখতে পাই না, যেমন আমরা সাধারণ মনিটরে প্রান্ত গুলো দেখতে পাই। তো IMAX স্ক্রিন এতই বড় যে সেটা যখন আপনি দেখবেন তার সাইডের প্রান্ত আপনার নজরে আসবে না, সাইডের শেষ এ দেখতে হলে আপনাকে সেদিকে তাকাতে হবে, এটার বিশলতা এত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
এটুকেই চমকে গেলে হবে না, ডিরেক্টরের কথা মত এখানে ০% VFX ইউজ করা হইছে, অর্থাৎ এতে কোন ভিজুয়াল ইফেক্ট নাই, সব টা বাস্তব। মুভিতে অনেক বোমা বিস্ফোরণ, নিউক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরণ দেখানো হইছে, বিলিভ মি তার সব বাস্তব, আর সব করা হইছে মুভির জন্য।
সুতরাং এটা ভাবার অবকাশ নাই যে " আরেহহ এটা তো কম্পিউটার গ্রাফিক্স ", যা দেখবেন সব বাস্তব।
এখন এই দেখার থেকে আরেকটা সাহসী পদক্ষেপ নেয়া হইছে যে, এই মুভি শুধুমাত্র থিয়েটার বা সিনেমা হল ছাড়া আর কোথায় দেখানো হবে না রিলিজের ১০০ দিন পর্যন্ত। অর্থাৎ ১০০ দিন এটা বিগ স্ক্রিনে চলবে, কোথাও কোন প্রিমিয়ার হবে না, না টিভি তে না ডিজিটাল প্লাটফর্মে।
এই জিনিস নিয়ে ক্যাচাল হয়েছিলো নোলানের লাস্ট মুভি টেনেট এ। ওয়ার্নার ব্রোস কম্পানির সাথে নোলানের সম্পর্ক ২০ বছরের চেয়েও বেশি, কিন্ত গত সিনেমা টেনেটে যেদিন বড় পর্দায় রিলিজ হয় সেই দিনই ডিজিটাল পর্দাতেও রিলিজ হয়, তাই মুভি মুটামুটি ফ্লপ না হলেও সেদিকে ভিড়ে গেছিলো।
তাই ওয়ার্নার ব্রোস কে বাদ দিয়ে এবার ইউনিভার্সাল পিকচারে মুভি করেছেন নোলান এবং শর্ত দিয়েছেন টানা ১০০ দিন এটা থিয়েটারে চলবে এবং এই ১০০ দিনের মাঝে অন্য কোন মুভি তারা প্রমোশন করতে পারবে না + নতুন কোন মুভি এনাউন্সমেন্ট করতে পারবে না + কোন অন্য মুভি তারা রিলিজ দিতে পারবে না। ব্যাপার গুলা এক্সট্রিম মনে হলেও এটাই যথার্থতা।
মজার ব্যাপার হলো ওপেনহেইমারের ট্রাইলার বের হয়েছিলো ২ মাস আগে, এই গত দুইমাস ধরে ইউনিভার্সাল পিকচারের ইউটুব চেনেলে ননস্টপ লাইভ চলতে থাকে ট্রেইলার টা। লাস্ট রেড কার্পেট প্রিমিয়ারের পর সেটা বন্ধ হয়।
এ তো গেলো শুধু উপর উপর কথা, মুভির কাস্টিং দেখলে আকাশ থেকে পড়তে হয়, হলিউডের সব A গ্রেড এক্টর এক্ট্রেস এটার মাঝে কাজ করেসেন। ভাবা যায় Gary Oldman মাত্র এক লাইনের ডাইলগের জন্য মুভিতে আছেন। কে নাই এটার মাঝে, কিলিয়ান মার্ফি, ফ্লোরেন্স,রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, এমিলি, ম্যাট ডেমন, ডেভন,কুয়িড,রামি মালেক আরো অনেকে। যারা একেকজন মেইনক্যারেক্টার রোল প্লে করে সব সময় তারা জাস্ট সাইড ক্যারেক্টার এই মুভিতে, কি বিগ স্কেলে মুভি টা হইছে।
পাখি প্রেমিরা ইমা ডুমুন্ট রেও দেখতে পাবে আর ফ্লোরেন্স তো আছেই 😅😅
মুভি প্রায় ৩ ঘন্টার মত হবে, মুভির সাউন্ড কুয়ালিটি এপিক হবে, আমরা সবাই টেনেট, ব্লাক প্যান্থার, ক্রিড ইত্যাদি মুভির সাউন্ডগুলো পছন্দ করেছি, তিনিই ওপেনহেইমার টাও করেছেন। আশা করি এই সুইডিস কম্পোজার অসামান্য মিউজিক কম্পোজ করেছেন। নাম Ludwig goransson (বাংলাতে উচ্চারণ অদ্ভুত লাগে)
এছাড়া আপনি এই মুভি ফ্যামিলি প্যাক নিয়ে না দেখলেই বরং ভালো হবে কারণ এখানে রবার্ট ওপেনহাইমারের বিবাহবহির্ভূত একটা রিলেশন আছে জিন টালোকের সাথে মানে ফ্লোরেন্সের সাথে, আর এতটুকু শিউর ইনফো আসছে পার্সোনাল ইভেন্টের ভিজুয়াল মুভিতে দেখানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে মুভিটা অবশ্যই থিয়েটারে গিয়ে উপভোগ করুন, ১০০ দিনের আগে কোন লিক আসবে না, কোন ডিজিটাল প্রিন্ট পাবেন না। জায়গায় জায়গায় স্পয়লার খেয়ে বিপদে পড়ার আগে দেখে আসবেন।।
আরো অনেক কিছু মনে হয় বলার ছিলো আমি সম্ভবত ভুলে গেছি, বাকি কথা মুভি দেখে জানাবো।
আজ এই পর্যন্তই
PEACE
Posted By: mahabub (Premium User!)
Post ID: 6990
Posted on: 2 months 2 days ago
Authorized by: Mostakim