FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

কিছু FD Legends দের ৯০ দশকের স্মৃতিচারণ!!!

কিছু FD Legends দের ৯০ দশকের স্মৃতিচারণ!!!

*

Evil::- আমি এইচএসসির সময় ৩ মাস সুর্যের আলো দেখি নাই, বই কিনছিলাম টেস্টের সময়... ডিপ্রেশনে পড়াশুনা ছেড়ে দিছিলাম... ওই ৩ মাস দিনরাত এক করে পড়ে জিপিএ ৪.৫ আসছিল.

আমরা যে বয়সে খেলার মাঠে যাওয়ার জন্য পাগল ছিলাম, সেই বয়সের ছেলেমেয়েরা এখন স্মার্টফোনে গেমস আর ইউটিউব চালাতে ব্যস্ত। মানসিক + শারিরিক বিকাশে বড় ধরণের সমস্যা হবে আগামী তে ।

আমার ফ্রেন্ড সার্কেলে সবার আগে সিগারেট খাওয়া শুরু করছিলাম আমি, একে একে গ্রুপের সবাইকে চেইন স্মোকার বানায়ে দিছি, এখন সবাই খায় আমি ছাড়া, গাছে উঠায়ে দিয়া মই নিয়া ভাগছি । সন্ধ্যা শেষে ক্রিকেট ফুটবল খেলে বাড়ি ফিরছি, আবার রাত জেগে পাবজি ও খেলছি।

১৯৮০ এর দিকে টেলিফোনের তার দিয়ে ক্যালকুলেটরে ফেবু চালাইতাম, আর ইউটিউবে মুভি স্ট্রিম করতাম। আহা, সোনালি দিনগুলো!


Mostakim::- ইন্টারে টেস্টের পর গ্রুপ স্টাডি করেছিলাম এভাবে, ৪-৬ বন্ধু মিলে কারো বাড়িতে গিয়ে নিজেরা পরীক্ষা দিতাম। সেই খাতা নিজেরাই দেখতাম। কোন চুরি ছিল না।
বন্ধুদের সাথে আড্ডাও হত, পড়াও হত। খুব একটা পেইন নিতে হয় নাই, ৫ পাওয়ার জন্য। SSC-তে test এর পর আমাদের ব্যাট বল সব নিয়ে জমা রেখেছিল স্কুলের হেড স্যার এর বাক্সে। শেষ পরীক্ষার দিন ফেরত দিয়েছে। Friends with benefit কাজে লাগাতে পারলে ভালও যেমন করা যায়, আবার খারাপ কাজে লাগালে খারাপ হতেও বেশি সময় লাগে না।

সত্যি কথা বলতে, আমাদের ৯০ এর জেনারেশন সব থেকে সৌভাগ্যবান। আমরা মাঠের খেলা ক্রিকেট ফুটবল থেকে শুরু করে খাটের খেলা ফ্রি ফায়ার, পাবজি সব পরিবর্তন দেখলাম। টেকনলজির র‍্যাপিড পরিবর্তন আমাদের সামনে হল। খাটের খেলা মানে চারজার আর Wifi লাগায় সারাদিন প্রতিবন্ধির মতো ঘরে পড়ে থাকা। আমাদের সময় সকাল ১০ টা কোন রকম বাজলেই খেলা শুরু, ১ টায় শেষ। ৩ টায় শুরু, মাগরিবে শেষ। অন্ধকারে বল দেখা না গেলে স্পিন করতে হবে, রুলস ছিল... আহা! দিন গুলো...

ছোটবেলায় আমার নানার খাট বানানোর জন্য রাখা কাঠ কেটে ব্যাট বানিয়েছিলাম। আমার প্রতিভা দেখে অবশ্য আর কেউ বকে নাই, হাসাহাসি হয় এখনও।

এক কালে মিস কল দেয়া একটা শিল্প ছিল।

Ikhtiar::- আমি ছোটবেলায় গোল্লাছুট, কুতকুত, দাড়িয়াবান্ধা খেলেছি। এসকল খেলায় ছেলে মেয়ে কোনো পার্থক্য ছিলোনা। এক সাথেই খেলেছি। তাছাড়াও মার্বেল, লাটিম কুপ, ক্রিকেটও খেলেছি নিয়মিত।
কিন্তু এখনকার পুলাপান এইগুলা কোনো খেলা পারেও না বা খেলারও চেস্টা করেনা। সবাই ফ্রি ফায়ার, সোসাল মিডিয়া নাহয় টিকটিক নিয়ে আছে! আগের খেলায় ব্যাট বলতে ওই কাঠের তক্তা নাহলে খাপ ছিলো। ১ টা বল কিনতে গেলেই সবার হাওয়া শেষ হয়ে যেতো এখন তো পুলাপান ৫০০-১০০০ টাকার নিচে ব্যাট ছাড়া খেলেই না।

প্রতি শুক্রবার আসলে আশেপাশের সব মেয়ে মহিলারা আমাদের বাড়িতে চলে আসতো সিনেমা দেখার জন্যে। তখন আমাদের ১৪ইঞ্চি সাদাকালো ন্যাশলান টিভি ছিলো। টিভির রিমোট ছিলোনা ভলিউম দিয়ে সব কিছু কন্ট্রোল করা হতো। কি সব দিন ছিলো আর এখন ঘরে ঘরে ৩২ইঞ্চি এলইডি টিভি।

ভাই খেলার জায়গার অভাব নাই তবে মানুষের মানষিকতা আগের মত নেই। আমি নিজেই মেয়েদের সাথে গোল্লাছুট সহ আরও অনেক খেলা খেলেছি। আমার চেয়ে ছোট বড় মেয়েরাও ছিলো। এখিন কি পারবেন মেয়েদের সাথে এইসব খেলতে? কিন্তু এখন মায়েরা বাচ্চাদের বাসা থেকেই বের হতে দেয়না খেলা তো পরের কথা। বাসার সামনে স্কুল থাকলেও বাচ্চাকে নিয়ে যায় নিয়ে আসে। একটা বাচ্চা স্বাধীনতা পাবে কিভাবে?

Shadhin::- আগে খেলার জন্য বল/ব্যাট পেতাম না, সবাই মিলে টাকা উঠিয়ে তারপর কিনতাম, অনেকে তো টাকা দেয়ার ভয়ে ২-৩ দিন মাঠেই আসতো না। এক দলে ১৫-২০ জন ও নিয়ে খেলতে হয়েছে,,আর এখন সব কিছু নিজেই ব্যবস্থা করলেও, খেলার জন্য প্লেয়ার পাওয়া যায়না। ফোন দিলেও বলে খেলবোনা । এখন তো মার্বেল খেলার জন্য মাটিই খুজে পাওয়া যায়না,, কথায় আছে,যায় দিন ভালো

Mahabub::- সকালে গলিতে খেলসি, দুপুরে স্কুলে গেছি, বিকালে ধুপখোলা মাঠ, সন্ধ্যার সাথে সাথে বাড়ি ফিরসি সাথে মা এর মাইর ফ্রি! রাতে পড়া শেষ এ বাড়ির নিচে শর্ট ক্রিকেট খেলসি, দেওয়ালে লেগে ক্যাচ নাই, এভাবেই কেটে গেছে স্কুল লাইফ

Soto_Khoka::- আমি মোবাইলে ইউস করা শুরু করছে ২০০৪ এর থেকে। ২০১৫ এর পরে স্মার্ট ফোন ইউস শুরু করছি। খুলনায় আমার একটা রুমমেট, ২০১১ সাল এর দিকে। মিগ৮০ তে চ্যাট করতো, একবার টানা ৩/৪ দিন শুয়ে ছিলো। শুধু খাইতে উঠতো। ৩০০ টাকার কার্ডে ২২ দিন মেয়াদ ছিলো। ৩০০/৬০০/৯০০ টাকার কার্ড পাওয়া যেতো।

মিসকল ধরাটাও ছিলো একটা শিল্প।

*




13 Comments 368 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024