প্রেমিক পুরুষ শাহরুখ দাদু

হেই আমার কলিজার ভাইএরা হৃৎপিন্ডের কাক্কিরা এবং কিডনির চাচ্চুরা কী অবস্হা সবার? ভালো আছেন ত? নাকি কাক্কিদের পাত্যা পাচ্ছেন না। ত ভাই এরা চাচারা কাকারা যদি পাত্যা না পেয়ে থেকেন তাহলে এখ্খনি বসে যান কাথা কম্বল আর এক কলসি মুড়ি নিয়ে কারন আজ আমি আপনাদের কাছে যার জীবনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি তিনিই হতে পারেন আপনাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনু প্রেরণার গল্প।

ফডি লিজেন্ড হিসাবে যিনি খ্যাত কখনো তিনি ম্যাক্সি, কখনো বা তিনি রেটো দাদুর শিষ্য কখনো বা উপসংহার নামে পরিচিত। বাস্তব জীবনে যার আসল নাম শাহরুখ। ত এখন চলুন মেইন গল্পে....

রাত ২ টা বেজে ৩০ মিনিট,গভীর রাত আমাদের শাহরুখ দাদু উদাস মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।হঠাৎ ক্রিং ক্রিং শব্দে ফোনের দিকে তাকালেন মেসেজের দিকে তাকিয়ে দেখলেন,"ভাইয়া!! "বুকটা ধক করে উঠল। যখন দেখলেন মেসেজটা সুহাসিনী র ।কী হয়েছিল তখন,
চলুন ফ্ল্যাশব্যাক থেকে ঘুরে আসি,এখন থেকে শুরু শাহরুখ দাদুর কথায়,,,
টানা এক বছর সুহাসিনীর পিছনে ঘুরার পর আজ দেখা করার কথা বললো কীইবা বাদ রেখেছি করার এই সুহাশিনীর জন্য, কোচিং এর সামনে ফুল হাতে দাড়িয়ে থাকা, বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকা, আইসক্রিম, চকলেট, কোনো কিছুই দেয়ার কমতি ত ছিল না অবশেষে আজ কী হবে!এসব ভাবতেই ভাবতেই এসে দাড়ালাম দেয়া ঠিকানায়, প্রায় আধা ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর দেখা পেলাম তাহার,এসেই জিজ্ঞেস করলো, তার পিছনে কেন আমি ঘুরঘুর করি।অবাক হয়ে তাকে আমি বলছিলাম, তুমি কী বুঝোনা?আমার এই প্রেম ভালোবাসা কিছুই যদি তোমার মনে না গেথে থাকলে তাহলে আমার দেওয়া এতকিছু গ্রহণ করে কেনইবা আজ আমাকে ফকির বাবা ম্যাক্সোনান্দু বানালে।শুনে সে বললো,, তোমাকে আমি আমার আপন ভাই এর মত মনে করি।তুমি আমার বড় ভাইয়ার মত।এটা শুনে আমার পায়ের তলার মাটি সড়ে গেল।এটা বলেই যখন সে চলে যাচ্ছিলো অশ্রু নয়নে তার যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে রইলাম
।
ফিরে আসি বর্তমানে,ওর ভাইয়া ডাকটা যেন আমার বুক চিড়ে হৃৎপিণ্ড ভেদ করতে লাগলো। মনে জেদ চেপে বসলো যেভাবেই হউক কিছু একটা করতেই হবে কিছু কূলকিনারা না পেয়ে সাথে সাথে কল দিলাম বৌদি বিশেষজ্ঞ রেটো দা( বৌদি প্রেমি গোপন সূত্র এ জানা যায় ছোটো বেলায় বৌদিদের কোল ছাড়া কখনো ঘুমাতে পারেনি এই বিখ্যাত রেটোদাদু) কাছে, সব ঘটনা খুলে বলার পর তিনি বললেন, "ফডিতে ফিরে আসো বাছা!প্রথমে খালা বানাও নিয়মিত ৩ বেলা তাকে হাগ করো।এভাবে হাগ করতে করতেই তুমি বুঝবে তোমার কী করতে হবে!ফিরে আসলাম ফডিতে, রাত দিন পরিশ্রম করে খালাও বানালাম। ঠিক ৩ বার করে খালাকে হাগ করতে করতেই মাথায় দারুন আইডিয়া এলো নেমে পড়লাম আমার নতুন মিশনে, বান্ধবী পটানোতে।তবে এর জন্য খালা রাগ করে আমাকে ছেড়ে দিলেন বটে তবে তাতে কী! আজ আমি সফলের দ্বার প্রান্তে। কখনো দর্শনিক হয়ে গুরুগম্ভীর কন্ঠে কখনো বা প্রেমিক পুরুষ হয়ে অনেক মেয়েই আজ আমি পটাতে সক্ষম তবে তাতে কম খাটনি হয়নি। আমি যে যে পথ অবলম্ব করতাম তা হলো প্রথমেই দেখতাম সিংগেল নারী আছে কোথায় যার জন্য আমাকে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা ঘুরেছি খুজেছি দ্বারে দ্বারে।এখনও আমার স্বপ্ন ৬৪ টি জেলা ৬৪ টি বান্ধুবী বানানোর,
প্রথম যে কষ্টের পথ পাড়ি দিয়েছি তা হলো, সিংগেল বান্ধবী বানানোতে।কারন জানেন ত,



আজ তাদের ভালোবাসায় আমি পরিপূর্ণ কিন্তু আজও সেই সুহাসিনী আমাকে ভাইয়া ডাকে কোনো ভাবেই তার ভাই থেকে নাম কাটাতে পারছি না।
--------------------------------------------------------------------------------------
শাহরুখ দাদুর কথা ত শেষ। ত চলুন আমি শুরু করি, আমাদের এই দাদু যখন ক্লাস নাইন এ পড়ত তখন থেকেই বান্ধবী পটাতে পারদর্শী , বাসা থেকে দেওয়া রিকশা ভাড়া জমিয়ে এই দাদু কত কত চকলেট কিনে বান্ধবী দের দিয়েছে তা বলা শুরু করলে শেষ করা সম্ভব নয়।গোপন সূত্রে জানা যায় ছোটোবেলা থেকেই বান্ধবী দের সাথে বিয়ে বিয়ে খেলাতে তার নাম জনপ্রিয়তা রয়েছে।আমাদের এই দাদুকে কিন্তু তার বান্ধবী রা আদরকরে কেউ শারু বাবু কেউবা শারু সোনা বলেও ডাকে।আজ চুয়াডাঙ্গা য় প্রায় প্রতিটি আপুর মনে বুকের বা পাশে চিন চিন করে একটি নামই উঠে তা হলো শারু বাবু।ভালোবাসায় হয়ত নোবেল দা কখনো নোবেল এর ব্যাবস্হা করে না যাওয়া স্বয়ং নোবেল দাদুর ব্যার্থতা। না হলে এই শারু দাদুও নোবেল পুরুষ্কার এ ভূষিত হত।তবে তিনি আজ এতদূর তার পিছনে দুইজনের ভূমিকা কিন্তু অনেক ১/ বৌদি বিশেষজ্ঞ সেই টেরু দাদু ২/ সেই সুহাসিনী।
এই বিখ্যাত প্রখ্যাত শারু দাদুর স্বপ্ন আজ বাংলাদেশ ছাড়িয়ে তার বান্ধবীদের পরিধি বিশ্বে নিয়ে যাওয়ার।আজ হাজার শারু দাদুর বান্ধবী রা দাদু র সাথে close up হতে চায়। কত আপু ত রাতের পর রাত স্বপ্নে দেখে শারু দাদুর াসাথে গল্প রচনার।কেউ কী পারবে? নাকি সেই সুহাসিনী ই একদিন ভাইয়া থেকে ছাইয়া ছাইয়া ডাকা শুরু করবে? অপেক্ষা য় রইলাম.....

আল্লাহ হাফেজ।

❤️❤️